বাজারে ভোজ্যতেলসহ ১৫টি নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে।এতে শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ পড়েছেন বিপাকে। দাম সহনীয় পর্যায়ে ফেরার দিন এখনও অনিশ্চিত থাকায় হতাশার পাশাপাশি অসন্তোষ বিরাজ করছে তাদের মাঝে।যদিও বাজারের এই অস্থিরতা দূর করতে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (টিসিবি)কে দায়িত্ব দিয়েছে সরকার। কমিশনের যুগ্ম প্রধানকে আহবায়ক করে ৯ সদস্যের একটি কমিটি কাজ শুরু করেছে।
ভোজ্যতেলের বাইরে দাম বেড়ে যাওয়া পন্যগুলো হচ্ছে- চিনি, লবণ, পেঁয়াজ, রসুন, মসুর ডাল, ছোলা, শুকনা মরিচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, এলাচ, ধনে, জিরা, আদা ও তেজপাতা। আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদার তুলনায় সয়াবিন ও পাম অয়েলের সরবরাহ কম- এমন অজুহাতে দেশের বাজারে প্রায় দুই মাস ধরে ভোজ্যতেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। ৮৮ টাকা লিটার দরের সয়াবিন তেল এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা, কোথাও কোথাও ১১৫ টাকা। একই পণ্যের দামের এই পার্থক্যের কোনও যৌক্তির ব্যাখ্যা কারও কাছে নেই। খোদ টিসিবি বলছে, গত এক বছরে দেশে সয়াবিন তেলে ২৪ দশমিক ৩২ শতাংশ ও পাম অয়েলে ২২ দশমিক ৮৪ শতাংশ দাম বেড়েছে।
টিসিবির তথ্যমতে, এক মাসের ব্যবধানে প্রায় সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। খোলা ও প্যাকেটজাত আটার দাম কেজিতে দুই টাকা, খোলা সয়াবিন লিটারে ছয় টাকা, পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন ৪০ টাকা, কেজিতে মসুরের ডাল ১০ টাকা, দেশি রসুন ২০ টাকা ও আমদানি করা রসুন ২০ টাকা, দেশি শুকনা মরিচ ৮০ টাকা, আমদানি করা শুকনা মরিচ ২০ টাকা, হলুদ ১০ টাকা, তেজপাতায় ৪০ টাকা দাম বেড়েছে।
এমকে