দেশেকে ধ্বংস করে দেওয়ার কারণে আওয়ামী লীগের রাষ্ট্র পরিচালনা করার আর কোনও অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বলেছেন, এই মুহূর্তে হাসিনা সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। একই সঙ্গে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সোমবার (৭ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় এমন মন্তব্য করেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৬তম কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ চিরদিন ক্ষমতায় থাকতে চায়। এ কারণেই গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য যেভাবে হোক ক্ষমতায় টিকে থাকা। মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আওয়ামী লীগ একদলীয় শাসন ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করতে তাদের মতো একটা নির্বাচন করতে চায়। সে কারণেই তারা সার্চ কমিটি ও ইসি গঠন করে। ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে পরিকল্পিতভাবেই আদালতের মাধ্যমে কাজগুলো করে। আবার বলে ইসি করেছে আইনের মাধ্যমে। এই আইন পাস করেছে একটা অবৈধ সংসদ।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার জন্য আওয়ামী লীগ ১৭৩ দিন হরতাল করেছিল। কিন্তু ক্ষমতায় এসে যখন দেখলো- তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে জয়লাভ করতে পারবে না, সেজন্য আদালতকে দিয়ে সেটা বাতিল করেছে।
ফখরুল তার বক্তব্যে নিজেদের পাশাপাশি সব রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিদের ঐক্যবদ্ধ করার মাধ্যমে একটা জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে সরকার পতনের আহবান জানান।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান। উপস্থিত ছিলেন- দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস প্রমুখ।
এমকে