এখন পর্যন্ত মোট জনগোষ্ঠীর এক শতাংশের কিছুটা বেশি মানুষ করোনাভাইরাসের টিকার আওতায় এসেছে বাংলাদেশে।শুধু বাংলাদেশ নয়, টিকাদান শুরু করা খুব অল্প দেশ-ই এই হারে টিকাদান সম্পন্ন করতে পেরেছে। এই রকম দেশের সংখ্যা ১৫টির বেশি। এসব কথা বলছেন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর।
শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) করোনা সংক্রমণের গতিবিধি ও টিকা শীর্ষক বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএইচআরএফ) সংলাপ অনুষ্ঠানে এই বিষয়ে কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে এই সংলাপে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন তিনি।
দেশজুড়ে ৭ ফেব্রুয়ারি করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন ১৮ লাখ ৪৮ হাজার ৩১৩ জন। মোট জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে শতাংশের দিক দিয়ে এই সংখ্যা একের চেয়ে কিছুটা বেশি।
ডা. আলমগীর বলেন, ইসরায়েল এক শতাংশের চেয়েও কিছু বেশি মানুষকে টিকা দিয়েছে। কিন্তু তাদের জনসংখ্যা অনেক কম। যুক্তরাজ্য ২৩ শতাংশ মানুষকে টিকা দিতে পেরেছে। জনসংখ্যা বেশি হওয়ায় আমাদের আগে টিকা কার্যক্রম শুরু করেও ভারত ওই টার্গেটে যেতে পারেনি।
সংলাপে ইউজিসি অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ও কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, একুশে পদকপ্রাপ্ত অণুজীব বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. সমীর কুমার সাহা, স্বাস্থ্য অধিদফতরের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ডা. আবু জামিল ফয়সাল প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এমকে