ফরহাদ খান, নড়াইল
৬ একরের বিশাল মাঠে, চারিদিকে নিকোষ অন্ধকার। ধীরে ধীরে জ্বেলে ওঠে লাখো মোমবাতির আলো। এই আলোয় ছাপিয়ে যায় অন্ধকার, আল্পনায় তুলে ধরা হয় দেশীয় নানান ঐতিহ্য ।ওড়ানো হয় ৭০টি ফানুস।মাঠটি সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের।এই বিশাল আয়োজন ভাষা আন্দোলনে শহীদদের স্মরণ করার জন্য।এভাবেই দক্ষিণের জেলা নড়াইলে রোববার পালিত হয়েছে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস (২১ শে ফেব্রুয়ারি)।
একুশ উদ্যাপন পর্ষদের আয়োজনে সন্ধ্যায় লাখো মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। মুজিববর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে এই প্রদীপ প্রজ্জ্বলন উৎসর্গ করা হয়। আয়োজনের স্লোগান ছিল- ‘অন্ধকার থেকে মুক্ত করুক একুশের আলো’।
একুশ উদ্যাপন পর্ষদের কর্মকর্তারা জানান, ভাষা শহীদদের স্মরণে ১৯৯৮ সালে নড়াইলে এই ব্যতিক্রমী আয়োজন শুরু হয়। প্রথমবার নড়াইলের সুলতান মঞ্চসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১০ হাজার মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়। এরপর থেকে নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ খেলার মাঠে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে ভাষা শহীদদের স্মরণ করা হচ্ছে। প্রতিবছর এর ব্যপ্তি বেড়েছে। এই বছর লাখো মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়। ভাষা দিবসের ৭০তম বার্ষিকীতে ওড়ানো হয় ৭০টি ফানুস।
স্বেচ্ছাসেবক মির্জা গালিব সতেজ জানান, রোববার সকাল থেকে প্রায় দুইশ’ স্বেচ্ছাসেবী লাখো মোমবাতি প্রজ্জ্বলন সংক্রান্ত কাজ শুরু করেন। আর সন্ধ্যায় একটি একটি করে মোমের আলোয় আলোকিত হয় বিশাল মাঠ। বর্ণাঢ্য এই আয়োজন দেখতে দুর-দুরান্ত থেকে হাজারো মানুষ ভিড় করেন।প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ছাড়াও একুশের কবিতা, গান, গণসঙ্গীতসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন-পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিয়াজুল ইসলাম, অধ্যাপক মুন্সি হাফিজুর রহমান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু, সদর উপজেলা ইউএনও সালমা সেলিম, নড়াইল পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা, অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক, নাট্যকার ও অভিনেতা কচি খন্দকারসহ অনেকে।
এমকে