পার্কে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার নারী পুলিশ সদস্যের মৃত্যু

১৩ জানুয়ারী ২০২২

বগুড়া প্রতিনিধি:

পার্কে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা রহিমা খাতুন (২০) নামের  পুলিশের এক সদস্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে মারা গেছেন। বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়। একই দিন সকালে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের হাতিগাড়া এলাকায় স্যাটকম এ্যাগ্রো পার্কে গিয়ে বিষপান করলে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। প্রেমিক বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায়, আর পরিবার থেকে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার প্রস্তাবে অভিমানে বিষপান করেছে বলে দাবি তার পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের।

রহিমা খাতুন শেরপুর উপজেলার চন্ডেশ্বর গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে, চট্টগ্রামের কক্সবাজারের অষ্টম আর্মড ব্যাটালিয়ন পুলিশে (এপিবিএন) কর্মরত ছিলেন তিনি। ৫ জানুয়ারি বদলিজনিত ১০ দিনের ছুটিতে বাড়িতে আসেন।  

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রহিমা খাতুন দুই বছর আগে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি পান।  তার সঙ্গে একই ব্যাটালিয়নের কনস্টেবল হৃদয় হাসানের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্প্রতি রহিমাকে ঢাকার এপিবিএনে বদলি  করা হয়। পরিবারের দাবি, বিয়ের জন্য ফোনে হৃদয়কে চাপ দেন রহিমা। কিন্তু হৃদয় রাজি না হওয়ায় তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর পরিবার থেকে তাকে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়।  সূত্র জানায়, বুধবার বেলা ১০টার দিকে কাউকে না জানিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। পরে পার্কে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে লোকজন তাকে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে শজিমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

বগুড়া ছিলিমপুর মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির এটিএসআই আশরাফুল জানান, প্রেমঘটিত কারণে কনস্টেবল রহিমা বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন। লাশ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত সাপেক্ষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

 

দীপক কুমার সরকার/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর