বছরব্যাপী নানা কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন শুরু করেছে বিএনপি। সোমবার (১ মার্চ) বিকালে রাজধানীর একটি হোটেলে এই কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও জামায়াতে ইসলামীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুরুতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ রণাঙ্গনের শহীদ, মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধা জানান হয়। দ্বিতীয় পর্বে দলীয় সংগীত, ক্যারিওগ্রাফির মাধ্যমে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর ‘থিম সং’ এবং দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন দলের শিল্পীরা । সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ওপর প্রামাণ্যচিত্রও উপস্থাপন করা হয়।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির আহবায়ক খন্দকার মোশাররফ হোসেনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।বক্তব্য দেন- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, দলের ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর বীরোত্তম, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বিক্রম, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক প্রমূখ।
দলটির কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতাদের বাইরে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- গণস্বাস্থ্য সংস্থার ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ২০ দলীয় জোটের নেতাদের মধ্যে মোস্তফা জামাল হায়দার, সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, রেদোয়ান আহমেদ, আহমেদ আবদুল কাদের, ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, খন্দকার লুতফুর রহমান, সাইফউদ্দিন মনি, সাহাদাত হোসেন সেলিম, আজহারুল ইসলাম, সৈয়দ এহসানুল হুদা, আবু তাহের শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, ফারুক রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফাসহ শরিক দলের অন্যান্য নেতারা। অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, তুরস্ক, জাপান, জাতিসংঘ, ইউএসএইড, আন্তর্জাতিক রেড ক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন। তবে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শরিক ড. কামাল হোসেন, মাহমুদুর রহমান মান্না অনুষ্ঠানে ছিলেন না ।
এমকে