কুমারখালীতে বাড়ছে অগ্নিকান্ডের ঘটনা

০৪ মার্চ ২০২১


কুমারখালী (কুষ্টিয়া) সংবাদদাতা
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত এক মাসে অন্ততঃ ১০ জনের বাড়িতে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আগুনে আবাসন, আববাবপত্র, ফসল, নগদ টাকা, স্বর্ণলঙ্কারের পাশাপাশি পুড়ছে গবাদিপশুও। আহতও হয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের অনেকেই। অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য-সহযোগীতা তেমন পাওয়া যাচ্ছে না। অগ্নিকা- পরবর্তীতে মাথা গোঁজার ব্যবস্থা করতে না পারায় কেউ কেউ প্রতিবেশির বাড়ীতে আশ্রয় নিয়েছেন।


বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিট, রান্নাঘর ও খেলার সময় শিশুদের আগুন  থেকে এসব অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়। সর্বশেষ  বুধবার  আলাদ সময়ে পৃথক তিনটি স্থানে অগ্নিকা-ে প্রায় সাড়ে ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এই দিন জোতমোড়া গ্রামের পশ্চিমপাড়ার সেকেন্দার আলী ও সুরত আলী, মনজেদ হোসেন এবং লিটনের বাড়িতে আগুন লাগে। এই সময় চারটি পরিবারের ৬টি বসতঘর, ৪টি করে রান্না ও গোয়াল ঘর, ছাগল, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও আসবাবপত্র পুড়ে যায়। বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়। ভুক্তভোগীরা সবাই পেশায় দিনমজুর।


এর আগে গোবিন্দপুর গ্রামের কানুই কুমারের বাড়িতে গ্যাস লাইট বিস্ফোরণে আগুন লাগে। আগুনে নগদ ২৫ হাজার টাকা, চারচালা টিনের বসতঘর, রান্নাঘরসহ সকল আসবাবপত্র পুড়ে যায়, পুড়ে মারা যায় গরুর একটি বাছুর। আগুনে নিভাতে গিয়ে কানুই কুমার ও তার স্ত্রী মায়া রানী দগ্ধ হয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়।


অন্যদিকে ছেউড়িয়া এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের খড়ের গাঁদিতে আগুন লেগে ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়। ২৫ ফেব্রুয়ারী সন্ধায় শহরের এলংগী গ্রামের দিনমজুর জনির উদ্দিনের বাড়ীতে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুনে বাড়ির সবকিছুই পুড়ে যায়। ২৪ ফেব্রুয়ারী কেশবপুরের শফিকুল ইসলামের বাড়িতে শিশুদের দেয়া আগুনে নিঃস্ব হয়েছে সে। ৩ ফেব্রুয়ারী খাগড়বাড়িয়ার আবুল কাশেম ও বিল্লাল হোসেনের বাড়ীতে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুনে  তাদের সব কিছু পুড়ে গেছে। ব্যক্তিগতভাবে, রাজনৈতিক সংগঠন ও বিভিন্ন সংস্থা সাধ্যনুযায়ী এসব অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে।


কুমারখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা আব্দুল হালিম জানান, অসতর্কতায় অগ্নিকান্ডের মুল কারন। গ্রাহক পর্যায়ে বৈদ্যুতিক সংযোগ লাইনে ত্রুটির জন্য আগুনের ঘটনা বেশি ঘটছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা। পিডিবির কুমারখালী সহকারী প্রকৌশলী সবাইকে সার্কিট ব্রেকার লাগানোর পাশাপাশি সংযোগের সব ত্রুটি দুর করার পরামর্শ দিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীবুল ইসলাম খান মুঠোফোনে বলেন, ভুক্তভোগীরা আবেদন করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এমএস/এমকে

 

 


মন্তব্য
জেলার খবর