আপনার সন্তানও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মধ্যে পড়তে পারে। তাই আজকে জনগণের পক্ষে আপনাদেরকেও থাকতে হবে। পুলিশের উদ্দেশে এমন কথাই বলেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। বুধবার (৩ মার্চ) শেরাটন ক্রসিংয়ে গণসংহতি আন্দোলনের পদযাত্রায় পুলিশ ব্যারিকেড দিলে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এই কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রাটি শুরু হয় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে ।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমরা কোনও বিশৃঙ্খলা চাই না, আমরা জনগণের পক্ষে কথা বলতে চাই, আপনাদের কথা বলতে চাই, আমাদের কথা বলতে চাই। সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে ২৩ দিন সময় বেঁধে দেন। বলেন, আগামী ২৬ মার্চের মধ্যে আইনটি বাতিল না করলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, আজকে পুলিশকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশকে সরকার তাদের গোলাম বাহিনী বানিয়েছে। আপনারা (পুলিশ) জনগণের কাতারে এসে দাঁড়ান, জনগণের জন্য কাজ করুন।
এর আগে কদম ফোয়ারা, মৎস্য ভবন এবং শাহবাগ মোড়ে তিন দফা নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে শেরাটন মোড়ে এসে পৌঁছালে পুনরায় পুলিশের ব্যারিকেডের মধ্যে পড়ে পদযাত্রাটি। ব্যারিকেডের মধ্যেই সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে পদযাত্রার সমাপ্তি হয়।
পদযাত্রায় অন্যন্যাদের মধ্যে ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান, যুগ্ম আহবায়ক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, ফারুক হাসান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষক রেহনুমা আহমেদ, ভাসানি অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্রচিন্তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম,রাখাল রাহা অংশ নেন।
এমকে