দেশের সব রাজনৈতিক দলকে এক ব্যানারে আসার আহবান জানিয়েছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক নুরুল হক নূর। দেশকে রক্ষা করতে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের জন্য এই আহবান। শুক্রবার (৫ মার্চ) জাতীয় যাদুঘরের সামনে বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদ আয়োজিত সমাবেশে এই বিষয়ে কথা বলেন তিনি।

শ্রমিক নেতা নুরুল আমিনসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার সবার নিঃশর্ত মুক্তি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে এই সমাবেশ হয়। এই সময় বাঁশের লাঠি তৈরি করার স্লোগান দিয়ে নুর বলেন, জনগণকে বলব-  যখন দেশে বালা-মুছিবত আসবে, কেউ কিন্তু রেহাই পাবেন না। সময় থাকতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আপনারা পত্রিকায় দেখেছেন- কার্টুনিস্ট কিশোরকে কীভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। কেন তাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল? কারণ তিনি একটি কার্টুন একেঁছিলেন। জাতিসংঘসহ উন্নয়ন সহযোগী ১৩টি রাষ্ট্র, বিভিন্ন মানবধিকার সংগঠন নির্যাতন নিপীড়ন নিয়ে কিন্তু সরব হচ্ছে। এখন জনগণকে জাগতে হবে। প্রশাসন তখনই পাশে দাঁড়াবে, যখন দেখবে জনতার ঢল নেমেছে।

ঢাবির সাবেক এই ছাত্রনেতা আরও বলেন, বিনা ভোটের সরকার বাংলাদেশকে ইরাক, সিরিয়া, মিয়ানমার বানাতে চায়। এই বিনা ভোটের সরকারের কাছে কি আমরা ১৮ কোটি লোক জিম্মি থাকব? আপনাদের সংগ্রাম করতে হবে। এই সংগ্রামে আমি মরি না আপনি মরেন, সেটা উপরওয়ালাই ঠিক করবে। 

কালো আইন আখ্যা দিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২৬ মার্চের মধ্যে বাতিল করতে সরকারকে সময় বেঁধে দেন তিন। বলেন, যদি এই সময়ের মধ্যে বাতিল করা না হয়, তাহলে ১৮ কোটি মানুষকে ভেতরে ভেতরে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে হবে।

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন, যুগ্ম আহবায়ক আবু হানিফ, শাকিলুজ্জামান, সোহরাব হোসেন, শ্রমিক অধিকার পরিষদের আহবায়ক আবদুর রহমান, যুগ্ম আহবায়ক ইমরান হোসেন, সদস্য সচিব আরিফ হোসেন প্রমুখ ।

এমকে