কুমারখালী (কুষ্টিয়া) সংবাদদাতা
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে সভা চলাকালে সভাপতি ও সম্পাদক গ্রুপের হট্রগোলে পণ্ড হয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সভা। চরম উত্তেজনার মধ্যে পাল্টা-পাল্টি সংবাদ সম্মেলনে একে-অপরকে দোষারোপ করেছেন উপজেলা সভাপতি আব্দুল মান্নান খান ও সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান অরুন। এই নিয়ে শহরে দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। সভায় প্রভাবশালী দুই জন সদস্যের উপস্থিতি নিয়ে এই হট্রগোল সৃষ্টি হয়।
জানা যায়, শনিবার বেলা ১১টার দিকে আবুল হোসেন অডিটোরিয়ামে এই সভা শুরু হয়। সভায় উপস্থিত প্রভাবশালী দুইজন সদস্যের বিষয়ে আপত্তি তোলেন শামসুজ্জামান অরুন। এই নিয়ে চরম হট্টগোল সৃষ্টি হয়। উদ্ভুদ পরিস্থিতিতে আব্দুল মান্নান খান সভা মুলতবি ঘোষণা করেন। এরপর তিনি নিজ কার্যালয়ে বেলা ১টার সময় সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল মান্নান খান জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আলহাজ্ব জয়নাল আবেদিন এবং আরেক সদস্য আবদুল মাজেদ মাস্টারকে কার্যনির্বাহী সভা থেকে বের করে দেওয়ার জোর দাবি জানান আলহাজ্ব শামসুল জামান অরুণ। তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হলেও পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাধারণ ক্ষমার কারণে তারা এখনও দলের সদস্য আছে। তাদেরকে বের করে দেওয়ার কথা বললে আমি তার প্রতিবাদ জানাই। পরবর্তীতে আমার কথা না মানলে কার্যনির্বাহী সভা মুলতবি ঘোষণা করে সভাস্থল ত্যাগ করেছি।
এদিকে শামসুজ্জামান অরুণ বেলার তিনটার সময় কুন্ডুপাড়া নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেন। স্থানীয় এমপি ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলনে শামসুজ্জামান বলেন, আগের বর্ধিত সভার কার্যবিধি অনুমোদন, বিভিন্ন ইউনিয়নের নতুন কমিটি গঠন, বিভিন্ন জনসভায় বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্যসহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনার কথা ছিল সভায়। মূলতঃ এই সভা বন্ধের জন্য নানা ইস্যু খুঁজেছেন সভাপতি। সর্বশেষ কোন কিছু না পেয়ে বহিস্কৃত উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে সভা স্থলে ডেকে আনেন। সে সময় আমিসহ বেশ কিছু নেতা তাদেরকে বের করে দেওয়ার কথা বললেই সভাপতি সভা মুলতবি ঘোষণা করেন। প্রসঙ্গত, সবশেষ ২০১৯ সালের মার্চে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এমএস/এমকে