প্রায় দু’শো বছর আগে বিবর্তনবাদের প্রবক্তা বিজ্ঞানী চার্লস ডারউইনের হারিয়ে যাওয়া নথি দুই দশক পরে ফিরে এল স্বস্থানে। টানা ২১ বছর ধরে নিখোঁজ থাকার পর কলম দিয়ে লেখা ও আঁকায় পূর্ণ ডারউইনের দু’টি নোটবুক, কিছু লেখা ফিরে এল কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে। রহস্যজনক ভাবে কে ফিরিয়ে দিলেন, কোন পথ ধরে এসে ফিরিয়ে দিয়ে গেলেন সভ্যতার প্রায় দু’শো বছরের প্রাচীন সেই সম্পদ, জানা যায়নি এখনও পর্যন্ত।
ক্যাম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘যেমন ছিল তেমন’ অবস্থায় ডারউইনের সেই সব লেখালেখি গ্রন্থাগার ভবনের বাগানে একটি গোলাপি রঙের প্যাকেটে ভরে কেউ রেখে যায়।
যেখানে সেগুলি রাখা ছিল তার আশপাশে কোনো সিসিটিভি লাগানো নেই। তাই জানা সম্ভব হয়নি, কে সেগুলি রেখে গেছে।
হারিয়ে যাওয়া ডারউইনের নোটবুক আর লেখাগুলি কেউ রেখে গিয়েছেন ১৮ তলা উঁচু গ্রন্থাগার ভবনের পাঁচ তলায় গ্রন্থাগারিকের কার্যালয়ের অদূরে। প্রয়োজন হয় না বলে যেখানে কোনও সিসিটিভি বসাননি গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত, ২১ বছর আগে এখানেই ছিল ‘ডারউইন-নথি’।
২০০১ সালে গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ প্রথম জানতে পারেন, ডারউইনের ওই নোটবুকগুলি হারিয়ে গেছে। তখন ভাবা হয়েছিল, গ্রন্থাগারের ১০ লক্ষেরও বেশি বইয়ের তাকের কোথাও না কোথাও হয়তো সেগুলি রয়েছে। ভালোভাবে খুঁজে দেখলে হয়ত পাওয়া যাবে। কিন্তু পাওয়া যায়নি।
তারপর ২০১৭ সালে গ্রন্থাগার ভবনের দায়িত্ব পান জেসিকা গার্ডনার। তিনিই প্রথম পুলিশকে লিখিতভাবে জানান, ওই সব মূল্যবান সম্পদ গ্রন্থাগার থেকে চুরি হয়ে গেছে, তা যাতে বহু হাত ঘুরে বিদেশের বাজারে কোনোভাবে বিক্রি না হয়ে যায়, সে ব্যাপারে সতর্ক করা হয় ইন্টারপোলকেও। শেষ পর্যন্ত ২০২০ সালে ক্যাম্ব্রিজের কনস্ট্যাবুলারিতে ঘোষণা করা হয়, ওই সম্পদগুলি আর গ্রন্থাগারে নেই। সেগুলি চুরি হয়ে গেছে। এর দেড় বছরের মাথায় সেগুলো রহস্যজনকভাবে ফিরে এলো।
আরআই/আনন্দবাজার