ইজরায়েলের বিদেশ মন্ত্রক এই ঘটনা প্রসঙ্গে এক বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, আল-আকসা মসজিদকে অপবিত্র করতে মুখোশধারী বেশ কিছু ব্যক্তি পুলিশকে লক্ষ্যে করে পাথর বোমা ছোড়ে। তবে পুলিশ মসজিদে ঢুকে হামলা চালিয়েছে বলে যে দাবি করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভুয়ো। কেন না পুলিশ মসজিদের ভিতরে ঢোকেনি।
ইজরায়েলি পুলিশ ও ফিলিস্তিনিদের সংঘর্ষে অন্তত ৫৯ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাজধানীর আল-আকসা মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায়ের জন্য হাজির হয়েছিলেন হাজার হাজার মুসলিম। সে সময় সাধারণ মুসল্লিদের ওপর ঝাঁপিড়ে পড়ে ইসরাইলি পুলিশ। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর, বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ করা হয়।
পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পরিমাণ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই রণক্ষেত্র পরিণত হয় আল আকসা প্রাঙ্গন। পুলিশ গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। লাঠিচার্জও করে।
ইসরায়েলি পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, স্থানীয় সময় ভোর ৪টা নাগাদ মসজিদ এলাকায় ফিলিস্তিনি লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও) ও হামাস জঙ্গিগোষ্ঠীর পতাকা নিয়ে মার্চ করছিলেন বেশ কিছু যুবক। খবর পেয়ে সেই যুবকদের গ্রেফতার করতেই মসজিদ এলাকায় পৌঁছায় পুলিশ। কিন্তু সেই সময় মসজিদে নামাজ চলছিল। ফলে প্রার্থনা শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করছিল পুলিশের দলটি।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, মসজিদে আসা মুসল্লিদের ঢাল বানিয়ে তাদের ভিড়ে মিশে গিয়েছিলেন ওই যুবকরা। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর, আগুন নিয়ে হামলা চালায়। ফলে মসজিদের মধ্যে একটা আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়। এ ঘটনায় ৫৯ জন প্যালেস্তিনীয় জখম হয়েছেন।
আরআই