আল-আকসায় ইসরাইলি হামলার তীব্র নিন্দা ইরানের

১৭ এপ্রিল ২০২২

পবিত্র রমজানের মধ্যেই আল-আকসা মসজিদে অভিযান চালিয়েছে ইসরাইলি পুলিশ। এতে দেড় শতাধিক ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। মসজিদের মধ্যে ইসরাইলি পুলিশের এমন বর্বর অভিযানের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইরান। ইসরাইলের এমন পদক্ষেপের পেছনে আরব দেশগুলোর বিশ্বাসঘাতকতা রয়েছে বলেও দাবি করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান।

 

তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট কিছু আরব ও মুসলিম দেশ ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার মাধ্যমে ফিলিস্তিনি জাতির প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা দেখিয়েছে। তার কারণেই ইসরাইল মুসলমানদের বিরুদ্ধে এমন আগ্রাসন চালানোর ধৃষ্টতা দেখাতে পেরেছে। অখণ্ড ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইরানের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে বলেও জানান তিনি। খবর পার্সটুডের।

 

শুক্রবার সকালে আল-আকসা মসজিদে ইসরাইলি বাহিনী মুসল্লিদের ওপর হামলা চালায়। ইসরাইলের দাবি, মসজিদের মধ্যে সহিংসতার পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে পাথর জমা করেছিল কিছু ফিলিস্তিনি। সেই পাথর সরাতেই সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। তবে এটি করতে গিয়েই ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধের মুখে পড়েন তারা। দ্রুতই সংঘাত গুরুতর রূপ ধারণ করে।

 

ইসরাইলি বাহিনী সেখানে টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুঁড়লে ১৫০ ফিলিস্তিনি আহত হন। ইসরাইলের এই আচরণের নিন্দা জানিয়েছে ইরান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, প্রতিরোধ আন্দোলনে ইসরাইল দিশেহারা হয়ে পড়েছে এ হামলা তার প্রমাণ।

 

তিনি শুক্রবার বিকেলে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার সঙ্গে এক ফোনালাপে এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ইসরাইল সরকার এত বেশি দূর্বল হয়ে পড়ছে যে, ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতিরোধ সংগ্রাম সহ্য করার অবস্থা আর তার নেই। ইসরাইল সরকার এখন দূর্বলতম অবস্থানে এবং প্রতিরোধ সংগ্রামীরা সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে।

 

হামাস প্রধান হানিয়া বলেন, ফিলিস্তিনিদের সামনে দু’টি পথ খোলা রয়েছে। তারা হয় আল-আকসা মসজিদে ইসরাইলের প্রভাব মেনে নেবে, আর না হয় তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ চালিয়ে যাবে। ফিলিস্তিনি জাতি কঠোরভাবে প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়ার পথ বেছে নিয়েছে।

 

 

আরআই


মন্তব্য
জেলার খবর