অধিক ফলনশীল ধানের জাত শনাক্ত

২১ এপ্রিল ২০২২

বিভিন্ন পরিস্থিতিতে সর্বোত্তম ফলন দিতে সক্ষম আমন এবং বোরো ধানের বেশ কয়েকটি জাত শনাক্ত করেছেন বাংলাদেশের গবেষকরা। তিন বছর ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে ‘হেড টু হেড অন-ফার্ম অ্যাডাপটিভ ট্রায়াল’পরিচালনার মাধ্যমে এসব জাত শনাক্ত করা হয়। এ জাতগুলো সারা দেশে সম্প্রসারণ করা গেলে চাষিদের উৎপাদন এবং মুনাফা উভয়ই বৃদ্ধি পাবে। বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল)  বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে  এক কর্মশালায় গবেষণালদ্ধ এ তথ্য জানানো হয়। আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ইরি) এবং বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিআরই)  যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে।

কর্মশালায় জানানো হয়, মৌসুমের ভিত্তিতে বর্তমানে বোরোর ক্ষেত্রে ব্রি ধান ৮৮, ব্রি ধান ৯৬ এবং ব্রি ধান ৯২  আর আমনের ক্ষেত্রে ব্রি ধান ৮৭ সর্বোচ্চ ফলনশীল জাত। রোপা আমনের ক্ষেত্রে আইআর১- ৩এফ৪৪১ এবং ব্রি ধান ৭৯ আকস্মিক বন্যা-প্রবণ পরিবেশের কার্যকরি জাত। তবে ভারতীয় ধানের জাত স্বর্ণার বিকল্প হিসেবে দেশের উত্তরাঞ্চলে ব্রি ধান ৯৩, ব্রি ধান ৯৪ এবং ব্রি ধান ৯৫ সবচেয়ে জনপ্রিয়। মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন জাতের ফলনের তুলনা ও নিবিড় পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে এবং কৃষক পর্যায়ের স্থানীয় জাতগুলোর উৎপাদনশীলতা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করার জন্য একমাঠে একত্রে চাষ করে এসব জাত শনাক্ত করা হয়। পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও পরিমাণগত ডেটা তৈরির মাধ্যমে জনপ্রিয় পুরানো মেগা জাতের তুলনায় নতুন উদ্ভাবিত জাতের উৎপাদনশীলতা পর্যবেক্ষণ করার জন্য ইচএইচএটি ট্রায়াল পরিচালনা করা হয়।

কর্মশালায় জানানো হয়, গত বোরো মৌসুমে উফশী জাতের মধ্যে সর্বনিম্ন ফলন দিয়েছে ব্রি ধান ২৮। জাতটিতে বিভিন্ন পোকা-মাকড়ের প্রকোপও ছিল বেশি। তাই  জাতটিকে অবিলম্বে প্রতিস্থাপন করা উচিত বলে মনে করেন ধানবিজ্ঞানী ও সম্প্রসারণ কর্মীরা। এছাড়া ব্রি ধান ২৯ এবং ব্রি ধান ৮৯-এর ফলনও প্রায় সমান হয়েছে।

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর