খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার

২২ এপ্রিল ২০২২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার কৃষি পণ্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। সেই সঙ্গে প্রতিটি শিল্প কারখানা থেকে শুরু করে নির্মাণাধীন অন্যান্য সব প্রতিষ্ঠান- সবকিছুই পরিবেশবান্ধব করার পদক্ষেপ নিচ্ছে। পরিবেশবান্ধব করার কারণ হিসেবে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) নরসিংদীর ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া সার প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনসহ আরো চার উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন ও প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন করেন। এ উপলক্ষ্যে ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র অনুষ্ঠান হয়।

প্রধানমন্ত্রী জানান, দেশে গবেষণার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ক্ষেত্রে বিভিন্ন ফসল, ফলমূল, সবজি, মাছ-মুরগির ডিম, মাংস উৎপাদন হচ্ছে। এগুলো প্রক্রিয়াজাত করতে পারলে অর্থাৎ ভ্যালু অ্যাড করতে পারলে যেমন বিদেশে রফতানি করা যাবে, পাশাপাশি দেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতাও যেহেতু বাড়ছে, সেখানে বাজার সম্প্রসারণ হচ্ছে। সেদিকে লক্ষ্য রেখে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে  সরকার।

দেশের অর্থনীতি কৃষি ভিত্তিক হলেও শিল্পায়ন প্রয়োজন আছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন- শিল্পায়ন যেমন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে, রফতানি করার সুযোগও সৃষ্টি করে। তার সরকার দেশে ১০০টি শিল্পাঞ্চল গড়ে তুলছে- যোগ করেন শেখ হাসিনা।

পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নে তার সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, পরিবেশ রক্ষা করাটা এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই পরিবেশ-প্রতিবেশের দিকে লক্ষ্য রেখেই প্রতিটি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি শিল্প কলকারখানা থেকে শুরু করে যত প্রতিষ্ঠান তৈরি করা হচ্ছে, সব প্রতিষ্ঠানই যাতে পরিবেশবান্ধব হয়, তার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এমনকি গার্মেন্ট শিল্পের গ্রিন ইন্ড্রাস্ট্রিজ সারা পৃথিবীতে ১০টার মধ্যে সাতটাই এখন বাংলাদেশে, জানান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা তাঁর বক্তব্যে তাঁর সরকারের সময়ে দেশের রফতানি আয় বৃদ্ধির কথা তুলে ধরেন। বলেন, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে মোট রপ্তানি আয় ছিল ১৫ হাজার ৫৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে এ আয় দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজার ৩৮৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে। বর্তমানে প্রায় ২০২টি দেশ ও অঞ্চলে ৭৬৬টি পণ্য রফতানি হচ্ছে। সরকারের নীতি এবং কর্মসূচির ফলে বর্তমানে জিডিপিতে  শিল্পখাতের অবদান প্রায় ৩৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এ সময় ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া সার প্রকল্পের সুবিধার কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। আরো বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের চেয়ারম্যান শাহ মো. ইমদাদুল হক,  শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা ও জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকিও প্রমুখ। 

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর