সিগারেটের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব

২৪ এপ্রিল ২০২২

স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে ও সরকারের রাজস্ব আয় বাড়াতে দেশের বাজারে নিম্নস্তরের (কম দামের) সিগারেটের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, ৭৫ শতাংশ সিগারেট ধূমপায়ী এ সিগারেট ব্যবহার করে। অথচ গেল দুই বছর ধরে এ সিগারেটের দাম বাড়েনি, অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। ফলে এ দামের সিগারেট ধূমপায়ী কমছে না।

শনিবার (২৩ এপ্রিল) রাজধানীর পল্টনে ইআরএফ কার্যালয়ে এক সেমিনারে কারণ ব্যাখ্যাসহ এ প্রস্তাব করেন বক্তরা। টোব্যাকো প্রাইস অ্যান্ড ট্যাক্স বিষয়ক এ সেমিনার যৌথভাবে আয়োজন করে  ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আহছানিয়া মিশন ঢাকা।

বক্তারা বলেন, জাতীয় মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতিকে বিবেচনায় নিয়ে সিগারেটের দাম বাড়ানো প্রয়োজন। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করতে হলে তামাকজাত পণ্যের দাম বাড়ানোর বিকল্প নেই। বক্তারা প্রতি ১০ শলাকার নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম ৩৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ টাকা করার প্রস্তাব করেন। পাশাপাশি উচ্চস্তরের সিগারেটের দামও প্রতি প্যাকেটে সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারণের প্রস্তাব করেন। তারা মনে করেন এ প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে একদিকে সরকারের রাজস্ব আয় যেমন বাড়বে, তেমিন পাশাপাশি ধূমপায়ী কমবে ১৩ লাখ এবং ৯ লাখ।  তাছাড়া তামাকপণ্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে তামাকজনিত রোগের পেছনে সরকারের ব্যয় কমে আসবে বলেও মনে করেন বক্তারা।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ইআরএফ সভাপতি শারমীন রিনভী, বক্তব্য দেন-   ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের উপ পরিচালক মোখলেছুর রহমান, সিটিএফকে গ্র্যান্ডস্ ম্যানেজার আব্দুস সালাম মিয়া, উন্নয়ন সমন্বয়ের পরিচালক (গবেষণা) আবদুল্লাহ নাদভী, ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম প্রমুখ।

এমকে

 

 


মন্তব্য
জেলার খবর