বগুড়া প্রতিনিধি:
বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায় সালিশ বৈঠকে এক গৃহবধূকে (৬০) লাঠিপেটা করার অভিযোগে স্থানীয় ইউপি সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। লাঠিপেটা করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরে রোববার তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার ইউপি সদস্য হলো উপজেলার নারচি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের তরিকুল ইসলাম। রোববার বিকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। থানার ওসি মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সারিয়াকান্দির ধাপ গ্রামের কবিরাজ আব্দুল খালেক মালোপাড়ার রবি নামের এক মহিলার সঙ্গে ধর্ম বাবা-মেয়ের সম্পর্ক গড়ে তোলে। গত শুক্রবার (২২ এপ্রিল) রাতে আব্দুল খালেক তার সেই ধর্মমেয়ের বাড়িতে যায়। ওই এলাকার সব বাড়ি বিল্ডিং হবে জানিয়ে ধর্মমেয়ের ঘরের আলাদা রুমে ধ্যানে বসে সে। ধ্যানে সফল হওয়ার জন্য শেষ রাতে রুবির যুবতী মেয়েকে ওই রুমে ডেকে নেয়। সকাল ৭টার দিকে ইউপি সদস্য তরিকুল লোকজনসহ ওই বাড়িতে গিয়ে আব্দুল খালেক এবং মেয়েটিকে আটক করে। এ সময় আব্দুল খালেককে উত্তম মাধ্যম দেওয়া হয়। পরে বিশু প্রামানিকের বাড়িতে তরিকুল মেম্বার ও হুমায়ুন মেম্বারের নেতৃত্বে সালিশ বৈঠক বসে। এদিকে কবিরাজ ও যুবতি মেয়েকে নিয়ে সালিশ হচ্ছে- এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে শতশত লোকজন সেখানে ভীড় জমায়। সালিশে আব্দুল খালেককে ৫০হাজার টাকা জরিমানা ও মারপিট শেষে কান ধরে ওঠাবসা করে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর লাঠি দিয়ে রুবি বেগম ও তার মেয়েকে মারপিট করেন ইউপি সদস্য তরিকুল ইসলাম। নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
সারিয়াকান্দি থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক নজরুল ইসলাম জানান, এক নারীকে লাঠিপেটা করার ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হলে ঘটনাটি পুলিশের নজরে আসে। পরে ইউপি সদস্য তরিকুল ইসলাম, নির্যাতনের শিকার নারী ও তার মেয়েকে থানায় আনা হয়।
সারিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, নির্যাতনের শিকার ওই নারী (রুবি বেগম) থানায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার অপর আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
দীপক কুমার সরকার/এমকে