চাটমোহরে প্রথম কুরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা

২৮ এপ্রিল ২০২২

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি:

পাবনার চাটমোহরে প্রথমবারের মতো কুরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা হয়েছে। চাটমোহর শাহী মসজিদ চত্বরে মু’জিযা হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা শীর্ষক এ প্রতিযোগিতার ফাইনাল রাউণ্ডে চারটি গ্রুপে ২১ জন প্রতিযোগি অংশ নেন। আজিজ অ্যান্ড সন্স ও টিম আর স্কয়ারের সৌজন্যে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

ফাইনালে রাউণ্ডে প্রধান বিচারক ছিলেন আন্তর্জাতিক ক্বারী ও হুফফাজের বিশেষ প্রশিক্ষক ক্বারী জহিরুল ইসলাম, তার সঙ্গে সহকারি বিচারক ছিলেন দু’জন- বোয়ালমারী হাজী আব্দুল্লাহ শিশু সদন ও হাফিজিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম হাফেজ নুরুজ্জামান ও আল মাদ্রাসাতুল আমানিয়া দারুল কুরআন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হাফেজ মাহমুদুজ্জামান মাসুম।

প্রতিযোগিতায় প্রথম থেকে তৃতীয় ক্রমানুসারে বিজয়ীরা হলেন- ৩০ পারা গ্রুপে জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসার ইব্রাহিম হোসেন,চাটমোহর মোহাম্মদ আলী হিফজুল কুরআন ক্বওমী মাদ্রাসার হাসানুর রহমান ও বাহাদুরপুর জামিয়া ইসলামিয়া ক্বওমীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার উসামা লোকমান। ২০ পারা গ্রুপে বেজপারা সম্মিলিত হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার জুয়েল রানা হৃদয়, বাহাদুরপুর জামিয়া ইসলামিয়া ক্বওমীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার তারেক জামিল এবং বোয়ালমারী হাজী আব্দুল্লাহ শিশু সদন দুস্থ কল্যাণ ক্বওমী হাফিজিয়া মাদ্রাসার মারুফ হোসেন। ১০ পারা গ্রুপে চড়ইকোল হাফিজিয়া মাদ্রাসার জাহিদ হাসান, চাটমোহর দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসার আহসান হোসেন ত্বাসিম ও চাটমোহর দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসার মো. হাবিবুল্লাহ। ৫ পারা গ্রুপে কুয়াবাসী আলহাজ্ব মহির উদ্দিন হাফিজিয়া মাদ্রাসার ফজলে রাব্বী, চাটমোহর দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসার আব্দুল্লাহ হুসাইন ও মাদ্রাসায়ে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) হাফিজিয়া এতিমখানার নাহিদ হোসেন।

পুরস্কার হিসেবে ৩০ পারা গ্রুপের প্রথমকে দশ হাজার, দ্বিতীয়কে ৫ হাজার ও তৃতীয়কে ৩ হাজার; ২০ পারা গ্রুপের প্রথমকে ৪ হাজার, দ্বিতীয়কে ৩ হাজার ও তৃতীয়কে ২ হাজার; ১০ পারায় প্রথমকে ৩ হাজার, দ্বিতীয়কে ২ হাজার এবং তৃতীয়কে ১ হাজার; আর ৫ পারায় প্রথমকে ২ হাজার, দ্বিতীয়কে ১ হাজার ৫০০ ও তৃতীয়কে ১ হাজার টাকাসহ প্রত্যেককে বই, ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেওয়া হয়।

গত ১৭ এপ্রিল প্রতিযোগিতার বাছাই পর্ব ৫টি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে চারটি গ্রুপে ১৭০ জন প্রতিযোগি অংশ নেয়। তাদের মধ্য থেকে ৭২ জনকে দ্বিতীয় রাউন্ডে ও দ্বিতীয় রাউন্ড শেষে ২১ জনকে ফাইনালের জন্য নির্বাচিত করা হয়। বিভিন্ন হাফিজিয়া মাদ্রাসার ১২ জন শিক্ষক বিচারক হিসেবে তাদের বাছাই করেন। প্রতিযোগিতার ব্যবস্থাপনায় ছিল দ্য রিয়েল জীম। সহযোগিতায় ছিল সালসাবিল ফিলিং স্টেশন, রানা কিংশুক ট্রেডার্স ও ইডেন।

এম.এ জিন্নাহ/এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর