মহামারি করোনাভাইরাসের মধ্যেও সচল ছিল অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা। তবে ইউক্রেন যুদ্ধ ও মুদ্রাস্ফীতি বাড়ায় ভাটা পড়েছে তাতে। বর্তমানে আমেরিকাতে অর্থনৈতিক মন্দার হার ১.৪%। নিকট অতীতে ইউক্রেন যুদ্ধ না থামলে দেশটি মহামন্দার কবলে পড়তে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করেছেন ব্যুরো অব ইকোনমিক এনালিস্টের অর্থনীতিবীদরা।
প্রবৃদ্ধির এ উল্টোগতি ২০২০ সালের এপ্রিলে করোনা মহামারির পর এটাই প্রথম। লকডাউনকালে প্রণোদনা-কর্মসূচি (স্টিমুলাস) চালু করার পরিপ্রেক্ষিতে প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা সম্ভব হয়। গত বছর প্রবৃদ্ধির হার বেড়ে হয়েছিল ৫.৭%। ১৯৮৪ সালের পর গত বছরটি ছিল পুরো বছর প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির অন্যতম একটি উদাহরণ। যদিও অধিকাংশ অর্থনীতিবিদ এখনও বিশ্বাস করেন যে, প্রবৃদ্ধির হার বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এখনও বড় ধরনের ধাক্কা লাগেনি, তবে চাকরির বাজারে গতি সঞ্চারিত হওয়ায় মন্দার ভীতি ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। কারণ, মুদ্রাস্ফীতি স্বাভাবিক হবার তেমন লক্ষ্য দেখা যাচ্ছে না। চীন ও ইউরোপসহ বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশসমূহে কিছু স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) গত সপ্তাহে বিশ্বব্যাপী প্রবৃদ্ধির অনুমান হ্রাস করেছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতির আলোকে বিশ্বখ্যাত হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির অধ্যাপক ও আইএমএফ’র প্রাক্তন প্রধান অর্থনীতিবিদ কেনেথ রোগফ বলেছেন, অবশ্যই দিগন্তে মেঘ জমেছে। মেঘের ঘনঘটা আন্দাজ করছি। এক্ষুণি সঠিক অনুমান করা সম্ভব না হলেও যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও চীন নিয়ে আমার উদ্বেগ রয়েছে যে, সহসাই মন্দা পরিস্থিতি গ্রাস করতে পারে। তা ঝড়ের মতো শক্তি নিয়ে আবির্ভূত হতে পারে। পরিস্থিতিকে আরো নাজুক করেছে সাংহাই-তে লকডাউন দেয়ায়। সর্বত্র ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
আরআই