ভারতের গুজরাটে স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করতে চাওয়ায় গলা টিপে হত্যা করলেন স্ত্রী। ঘরে স্ত্রী-সন্তান রয়েছে, তবু সংসারে মন নেই। প্রায়ই স্ত্রীর সামনে দ্বিতীয় বিয়ে করার ইচ্ছার কথা বলতেন রাকেশ মোহন্ত। এ নিয়ে ঝামেলাও হতো নিয়মিত। কিন্তু গত মঙ্গলবার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায় স্ত্রী নীতু দেবীর।

জানা যায়, রাকেশের বয়স ছিল ৩২। পেশায় দিনমজুর ছিলেন রাকেশ। স্ত্রী নীতু ও পাঁচ বছরের মেয়েকে নিয়ে সুরাটের পালীগাম গ্রামে থাকতেন। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার দিন রাতে রাকেশ নীতুকে বলেছিলেন, মেয়েকে নিয়ে তার ঘর ছেড়ে চলে যেতে। কারণ তিনি জন্মস্থান বিহারে ফিরে যেতে চান এবং সেখানে গিয়ে দ্বিতীয়বার বিয়ে করার চিন্তা করছেন।

এ কথা শুনে নীতুর প্রচণ্ড রাগ হয়। এমনিতে রাকেশ এমন কথা প্রায়ই বলতেন, তা নিয়ে অশান্তি হলেও পরে আবার স্বাভাবিক হয়ে যেতো। কিন্তু মঙ্গলবার আর নিজেকে সামলাতে পারেননি নীতু। অভিযোগ, রাকেশ বিয়ের কথা বলতেই তার ওপর চড়াও হন স্ত্রী। স্বামীকে মাটিতে ফেলে বুকের ওপর চেপে বসেন এবং গলা টিপে ধরেন। একপর্যায়ে রাকেশ নিথর হয়ে পড়লে নীতু পড়শিদের জানান, তার স্বামী অজ্ঞান হয়ে গেছেন।

কিন্তু পড়শিদের সন্দেহ হওয়ায় তারা পুলিশে খবর দেন। ততক্ষণে মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন নীতু। পরে পুলিশ গিয়ে রাকেশের লাশ উদ্ধার করে। তল্লাশি চালিয়ে অভিযুক্ত স্ত্রীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রাকেশের ভাই দশরথ মোহন্ত নীতুর বিরুদ্ধে একটি হত্যামামলা দায়ের করেছেন।

আরআই