গণতন্ত্র বিকাশে ও চর্চায় স্বাধীন গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিসীম। কিন্তু দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। বিভিন্নভাবে এ আইনের যে অপব্যবহার হচ্ছে, সে কথা আইনমন্ত্রী নিজেও বলেছেন। এ আইন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকার সম্পাদক পরিষদ। এদিকে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশ এবার আগের বছরের চেয়ে ১০ ধাপ পিছিয়েছে বলে জানিয়েছে ফ্রান্সভিত্তিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ)। সংগঠনটি বিশ্বজুড়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করে।
৩ মে (মঙ্গলবার) বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বিবৃতিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির কথা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সম্পাদক পরিষদ। একই দিন এ সূচক পেছানোর কথা জানায় আরএসএফ।
সম্পাদক পরিষদের বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, ডিজিটাল মাধ্যমে কাজের ক্ষেত্রে বাধা ও আক্রমণের মুখোমুখি হচ্ছেন সাংবাদিকরা। অনেক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। অনেকে এ আইনের মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন। শুধু সাংবাদিকই নন, বিভিন্ন ক্ষেত্রের অ্যাক্টিভিস্ট, শিল্পী, লেখকরাও এ আইনে মামলার মুখোমুখি হয়েছেন। তারপরও এ আইনসহ আরও অনেক প্রতিবন্ধকতা ও হুমকি মোকাবিলা করে নিজেদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন সাংবাদিকরা। যদিও শুরু থেকেই সম্পাদক পরিষদ এবং সাংবাদিকরা এ আইন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ ও আপত্তি জানিয়েছেন। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়- কিছুদিন আগে আইনমন্ত্রী আইনটি সংশোধনেরও ইঙ্গিত দিয়েছেন। আইনটির অপব্যবহার যে হচ্ছে, সে বিষয়ে মন্ত্রীর বক্তব্য সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগের যথার্থতা প্রমাণ করেছে।
এদিকে, আরএসএফ এর প্রকাশিত সূচকে বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৬২তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে গত বছর ছিল ১৫২তম। তার আগের বছর ২০২০ সালে ছিল ১৫১তম। আর ২০১৯ সালে ছিল ১৫০ তম।
আরএসএফ বলছে, এবার সূচকে গণমাধ্যমে স্বাধীনতায় সবার শীর্ষে রয়েছে নরওয়ে। সবার নিচে আছে উত্তর কোরিয়া। শীর্ষ ১০ এ থাকা বাকি দেশ হলো- ডেনমার্ক, সুইডেন, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, পর্তুগাল, কোস্টারিকা, লিথুনিয়া ও লিশটেনস্টাইন। সবচেয় খারাপ ১০ এ থাকা দেশ হলো- উত্তর কোরিয়া, ইরিত্রিয়া, ইরান, তুর্কেমেনিস্তান, মিয়ানমার, চীন, ভিয়েতনাম, কিউবা, ইরাক ও সিরিয়া।
এমকে