অফিস কাজের জায়গা। কাজ ভিন্ন ঘুম কিংবা অন্য কিছু করার সুযোগ নেই। তবে ভিন্ন দৃষ্টান্ত স্থাপন করল ভারতের একটি ফার্নিচার ব্রান্ড ‘ওয়েকফিট’। প্রতিষ্ঠানটি তার কর্মীদের জন্য ঘুমের ব্যবস্থা করেছে। কর্মীরা বেলা ২টা থেকে ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত অফিসে ঘুমানোর সময় পাবেন। এ সময় প্রতিষ্ঠানটি তার সব কর্মীর কার্যসূচি বন্ধ রাখবে।
ওয়েকফিটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা চৈতন্য রামালিঙ্গেগৌড়া সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের কাছে একটি অফিশিয়াল ই–মেইল পাঠিয়েছেন। ই–মেইলের শিরোনাম: ‘আপনার ঘুমানোর অধিকার ঘোষণা করা হচ্ছে’।
চৈতন্য রামালিঙ্গেগৌড়া লিখেছেন, ‘আমরা ছয় বছরেরও বেশি সময় ধরে ঘুমের সাথে জড়িত ব্যবসায় আছি। অথচ বিশ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক—বিকেলের ঈষৎ নিদ্রার (ন্যাপ) প্রতি সুবিচার করতে ব্যর্থ হয়েছি। আমরা সব সময় ঈষৎ নিদ্রাকে গুরুত্বসহকারে নিয়েছি। কিন্তু আজ থেকে আমরা এ বিষয়কে পরের ধাপে নিয়ে যাব। অর্থাৎ, ওয়েকফিটের কর্মীরা অফিসে ঈষৎ নিদ্রার অধিকার পাবেন।’
ঘুমের যথাযথ পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যেও কাজ করার কথা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এ জন্য তারা অফিসে আরামদায়ক ‘ন্যাপপড’ ও ‘শান্ত কক্ষ’ তৈরিতে কাজ করছে।
২৬ মিনিটের ঘুম ৩৩ শতাংশ কর্মক্ষমতা বাড়ায় উল্লেখ করে ওয়েকফিটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বলেন, ঘুম কীভাবে শক্তি বা উৎসাহ না থাকা অবস্থা দূর করে, তা উঠে এসেছে হার্ভার্ডের গবেষণায়। বিকেলের ঈষৎ নিদ্রা স্মৃতিশক্তি, একাগ্রতা, সৃজনশীলতা ও উত্পাদনশীলতায় সহায়তা করে বলে গবেষণায় দেখা গেছে।
প্রতিষ্ঠানটির হেড অব ব্র্যান্ড প্রতীক মালপানিও চৈতন্যের এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি তার সহকর্মীদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, এটা সত্য, এটা বাস্তবিক। ওয়েকফিট অফিশিয়াল ঘুমের সময় ঘোষণা করেছে।
‘আমি গর্ব করে বলতে পারি, আমি অফিসে ঘুমানোর জন্য বেতন পাচ্ছি।’ উল্লেখ করেন তিনি।