মূল্যবৃদ্ধিতে কেটেছে সঙ্কট

০৭ মে ২০২২

ঈদের কয়েকদিন আগে থেকেই সারা দেশে খুচরা বাজারে তীব্র সঙ্কট দেখা দেয় সয়াবিন তেলের। বোতলজাতটা চাহিদা মতো পাওয়া না গেলেও এলাকাভেদে খোলা সয়াবিনের কেজি দুইশ’ বা তার কাছাকাছি টাকা দরে বিক্রির খবর পাওয়া গেছে। কিন্তু ঈদের দুইদিনের মাথায় মূল্যবৃদ্ধির (আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে দেশের বাজারে মূল্য সমন্বয়) ঘোষণা দেওয়ার পরের দিনেই সেই সঙ্কট কেটে গেছে। শুক্রবার (৬ মে) রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে সয়াবিন তেল চাহিদা মতো পাওয়া গেছে। অবশ্য ক্রেতাদের সে তেল কিনতে হচ্ছে নতুন দরে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তেলের দাম বাড়তে পারে- এমন ধারণা থেকেই দোকানিরা তেল কেনাবেচা কমিয়ে দেয়, এতেই সৃষ্টি হয় কৃত্রিম সঙ্কট। নাহলে দাম বাড়ানোর খবরে বাজারে তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হলো কীভাবে?

আমদানি স্বাভাবিক রাখতে বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম সমন্বয় করেন সংশ্লিষ্টরা। সে মোতাবেক খুচরা বাজারে লিটারে খোলা সয়াবিন ৪৪ টাকা, বোতলজাতে ৩৮ টাকা আর পামওয়েলে ৪২ টাকা বেড়েছে। লিটার প্রতি খোলা সয়াবিন ১৮০ টাকা, বোতলজাত ১৯৮ টাকা ও পাম সুপার ১৭২ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

ক্ষোভ প্রকাশ করে ক্রেতারা বলছেন, নতুন মূল্য নির্ধারণের পর নতুন সয়াবিন তেল  বাজারে আসেনি এখনো। অথচ আগের দরের সয়াবিন তেলই বিক্রেতারা নতুন দরে বিক্রি করছেন এখন। কিছু ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, ঈদের আগে প্রায় সব দোকানেই সয়াবিন ছিল। সংকটটা মূলত কৃত্রিমভাবে করা হয়েছিল। দাম বাড়বে জেনে অসৎ ব্যবসায়ীরা  তাদের দোকান থেকে সরিয়ে রেখেছিলেন সয়াবিন। সঙ্কট দেখিয়ে প্রতি লিটার ৮০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছিল। কেউ কেউ বিক্রিই করেননি। যারা বিক্রি করেনি, তাদের তেল এখন নতুন দরে বিক্রি হচ্ছে।  ঈদের পরে নতুন সয়াবিন তেল বাজারে এখনো সরবরাহ করা হয়নি, দুএকদিনের মধ্যেই বাজারে আসতে পারে বলে জানান তারা। আগের দরের তেল নতুন দরে বিক্রির বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের অভিযান চালানো দরকার বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর