সড়কে ৫৪৩ প্রাণহানি

০৮ মে ২০২২

সারা দেশে গত এপ্রিল মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৪৩ জন নিহত আর ৬১২ জন আহত হয়েছেন। প্রতিদিন গড়ে ১৮ জন নিহত হয়েছেন। মোট নিহতের মধ্যে ৬৭ জন নারী ও ৮১টি শিশু ছিল। মোট দুর্ঘটনার মধ্যে তুলনায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ছিল বেশি, ৪৪ দশমিক ২৬ শতাংশ। দুর্ঘটনা ঘটে মোট ৪২৭টি। সড়ক দুর্ঘটনার পাশাপাশি নৌ ও রেলপথেও দুর্ঘটনা ঘটেছে। নৌপথে ৬ দুর্ঘটনায় আট জন নিহত ও ছয় জন নিখোঁজ হয়েছেন। আর রেলপথে ২১টি  দুর্ঘটনায় ২৩ জন নিহত এবং ৫ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (৭ মে) রোড সেফটি ফাউন্ডেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সড়ক দুর্ঘটনা সংক্রান্ত খবরের ভিত্তিতে প্রতিবেদন তৈরি করে তারা।

প্রতিবেদনের তথ্যমতে, ১৮৯টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২০৬ জন নিহত হয়েছেন। তাছাড়া নিহতদের মধ্যে পথচারী ছিল ১১৬ জন। আর যানবাহনের চালক ও তাদের সহকারি ছিল ৮৭ জন। ১৮ থেকে ৬৫ বয়সী কর্মক্ষম মানুষ নিহত হয়েছেন ৪৩১ জন।

ট্রাকসহ পণ্যবাহী দ্রুতগতির যানবাহন ও মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে ব্যাপকভাবে। মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ ড্রাইভার দ্রুতগতিতে পণ্যবাহী যানবাহন এবং অপ্রাপ্ত বয়সের ও যুবকদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানোর কারণে নিজেরাই দুর্ঘটনার পতিত হয়েছেন এসব চালক, পাশাপাশি অন্যান্য যানবাহনকে আক্রান্ত করছে। পথচারীরা সড়কে নিয়ম না মেনে ও যানবাহনগুলোর বেপরোয়া গতিতে চলার কারণে পথচারী নিহতের ঘটনা বেড়েছে।

দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৮৭টি জাতীয় মহাসড়কে, ১২৩টি আঞ্চলিক সড়কে, ৬৫টি  গ্রামীণ সড়কে, ৪৬টি শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ৬টি  সংঘটিত হয়েছে। তুলনামূলক কম দুর্ঘটনা ঘটেছে ভোরে, ৪ দশমিক ২১ শতাংশ। বেশি ঘটেছে সকালে- ৩২ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এছাড়া দুপুরে ১৮ দশমিক ৫০, বিকালে ২০ দশমিক ৬০, সন্ধ্যায় ১০ দশমিক ৭৭ এবং রাতে ১৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ ঘটেছে। বিভাগের দিক থেকে এগিয়ে ছিল ঢাকা বিভাগ, ৩০ দশমিক ৬৭ শতাংশ। আর কম সিলেটে, ৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ। ঢাকা বিভাগে ১৩১ টি দুর্ঘটনায় ১৫৬ জন নিহত হয়েছেন। সিলেট বিভাগে ১৯ টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। জেলা হিসেবে ঢাকায় সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে, ৩৯ টি দুর্ঘটনায় ৪৪ জন নিহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম ঝালকাঠিতে, ৩ টি দুর্ঘটনা ঘটলেও কোনো প্রাণহানি ঘটেনি।

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর