দেশে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। আর নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও কঠিন হবে। এ জন্য নিজের দলের সবাইকে প্রস্তুতি নিতে বলেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় বিষয়টি জানান তিনি। শনিবার (৫ মে) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভা হয়। সভায় উপস্থিত একাধিক নেতা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নেতারা জানান, শেখ হাসিনার বলেছেন- এ নির্বাচনে দলের যোগ্য প্রার্থী বেছে নিতে সারা দেশে জরিপ চলছে। সবকিছুই কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। নির্বাচন ঘিরে বিএনপির তৎপরতা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ প্রধান বলেছেন, গত রমজানে ইফতার পার্টির মাধ্যমে ওয়ার্ড নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি সভা করেছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান। তারা পশ্চিমা দেশে অন্তত ৫০টি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ দিয়েছে, চুপ করে বসে নেই।
নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে নিজের দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য শেখ হাসিনা বলেছেন, দল গোছাতে হবে। সর্বস্তরে সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। সম্মেলন যথাসময়েই হবে। তাই এ সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখার নির্দেশনাও দেন। তবে সম্মেলনের দিন নির্ধারণ বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি। আগামী নির্বাচনে ১৪ দলীয় জোট বিদ্যমান থাকবে বলেও জানান শেখ হাসিনা।
এদিকে সভায় তৃণমূলের সম্মেলন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন, নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী ও তাদের মদদদাতাদের বিষয়টি রিপোর্ট আকারে উপস্থাপন করেন সাংগঠনিক সম্পাদকরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে সম্মেলন না হওয়া সব সাংগঠনিক শাখায় ইউপিসহ অনুষ্ঠিত সব নির্বাচনে বিরোধিতাকারীদের দলীয় দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি তাদের কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ওই সব শাখায় প্রস্তুতি কমিটি গঠনের মাধ্যমে সম্মেলন শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
এমকে