দেশে গত এপ্রিল মাসে আগের বছরের এপ্রিলের চেয়ে সার্বিকভাবে ৫১ দশমিক ১৮ শতাংশ বেড়েছে রফতানি আয়। আর গত অর্থবছরের ১০ মাসের তুলনায় (জুলাই থেকে এপ্রিল) চলতি অর্থবছরের এ সময়ে ৩৫ দশমিক ১৪ শতাংশ বেড়ে এ আয় দাঁড়িয়েছে ৪৩ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলারে। এর মাধ্যমে চলতি অর্থবছর শেষ হওয়ার ২ মাস আগেই রফতানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। এ হিসাব রেখেছে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। মূলত করোনা সঙ্কট কাটিয়ে বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইন পূর্বের অবস্থানে যাওয়ায় রফতানি বেড়েছে। রফতানির এ ধারা চলমান থাকলে আশা করা যায় চলতি অর্থবছরে এ আয় ৫২ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করবে। এর মাধ্যমে রফতানি বাণিজ্যে ইতিহাস সৃষ্টি হবে দেশে।
ইপিবির হিসাবে, গেল এপ্রিলে ৪৭৩ কোটি ৮৭ লাখ (৪.৭৪ বিলিয়ন) ডলারের বিভিন্ন পণ্য রফতানি হয়েছে। এটা এ মাসের লক্ষ্যমাত্রার ৪০ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেশি। আর ১০ মাসের হিসাবে কেবল তৈরি পোশাক থেকে রফতানি আয় হয়েছে ৩৫ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার। এ খাতের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় প্রায় ২২ শতাংশ বেশি। শুধু তাই নয়, গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৬ শতাংশ বেশি।
অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের ১০ মাসের মোট আয়ও গত অর্থবছরের পুরো সময়ের চেয়ে ১২ শতাংশ বেশি। এপ্রিল মাসে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৩৬ কোটি ৯০ লাখ ডলার। গত বছরে এ মাসে আয়ই হয় ৩১৩ কোটি ৪৪ লাখ ডলার। আর ১০ মাসের হিসাবে ৩৫ দশমিক ১৪ শতাংশ বেড়েছে সার্বিক রফতানি আয়, এটাও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০ দশমিক ৫২ শতাংশ বেশি। অর্থবছরের বাকি দুই মাসেও রফতানির এ ধারা থাকবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এমকে