ইজারা ছাড়া দুই খেয়াঘাটে টোল আাদায়!

১০ মে ২০২২

পঞ্চগড় প্রতিনিধি:

ইজারা বছরের প্রথম মাস পেরিয়ে গেলেও পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ৪ নং কাজলদিঘী কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নের কালিয়াগঞ্জ ও বারুনি স্নান খেয়াঘাট এখনো ইজারা দেওয়া হয়নি। এদিকে ইজারা ছাড়াই এ দুটি ঘাট পারাপারের লোকজনের কাছে থেকে টোল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এতে  লাখ লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

স্থানীয়দের অভিযোগ- পারাপারে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া হচ্ছে। আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা এর সঙ্গে জড়িত। বর্তমান খেয়াঘাট দুটির টোল আদায়কারীদের কাছে থেকে জানা যায়,  আগে  কালিয়াগঞ্জ বাজার খেয়াঘাটে ৪ জন টোল আদায় করতো। এবার ইউপি চেয়ারম্যান আরও দু’জনকে অন্তর্ভুক্ত করায় তাদের মাঝে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এজন্য খেয়াঘাটটি ইজারা দিতে পারেনি। তবে সমঝোতার মাধ্যমে ৪ লাখ টাকায় ঘাটটি ইজারা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন  ৬ জন। তাদের কাছে থেকে ইতোমধ্যে ৩ লাখ টাকা নিয়েছেন চেয়ারম্যান। বাকি টাকা এক সপ্তাহ পরে চেয়ারম্যানকেক দিতে হবে। অন্যদিকে বারুনী স্নান ঘাটে টোল আদায় করে মন্দির কমিটি। এ ঘাটটির ক্ষেত্রেও সমঝোতা হয়েছে, ৩ লাখ টাকা। ইতোমধ্যে ২ লাখ টাকা নিয়েছেন চেয়ারম্যান, বাকি ১ লাখ টাকা পরে দিতে হবে তাকে।

জানা যায়, পঞ্চগড় জেলার খেয়াঘাটগুলো প্রতিবছর জেলা পরিষদ থেকে ইজারা দেওয়া হয়। তবে বোদা উপজেলার কালিয়াগঞ্জ ও বারুনি স্নান ঘাট দু’টি অজ্ঞাত কারণে বাদ দেওয়া হয়। এ দু’টি ঘাট ইজারা দেয় ইউনিয়ন পরিষদ। প্রতি বছর ৬-৭ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হয় এসব ঘাটে। ইজারা দেওয়া হয় বৈশাখ মাস থেকে চৈত্র মাস পর্যন্ত। কিন্তু এবছর বৈশাখ মাসের শেষেও ইজারা দেওয়ার কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মোমিন।  এদিকে জেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, ইজারা দর ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত কোনো খেয়াঘাট ইউনিয়ন পরিষদ ইজারা দিতে পারবে। এর বেশি হলে জেলা পরিষদের কাছে মালিকানা হস্তান্তর করতে হবে।

ওই ইউনিয়নের বাসিন্দা নুরুজ্জামান বলেন, প্রতিদিন এ খেয়াঘাট পার হয়ে উপজেলা শহরে যাতায়াতে ২০ টাকা টোল দিতে হয়। মোটরসাইকেল পার করতে লাগে ৪০ টাকা। এ খেয়াঘাট দিয়ে প্রতিদিন ৫ শতাধিক মানুষ পারাপার হন।

ঘাটটিতে টোল আদায়ে জড়িত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন বাবু জানান, খেয়াঘাটের ইজারাদার দেলোয়ার হোসেন। তবে চারজন শেয়ারে পরিচালনা করছি। এ বছরের জন্য চেয়ারম্যানকে টাকাও দিয়েছি। ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মোমিন বলেন- ঝামেলা ছিল, ইজারা এখনো দেওয়া হয়নি। তবে কয়েকদিনের মধ্যে সমাধান হবে।

মো.সম্রাট হোসাইন/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর