প্রতি কিলোমিটার বহনে যাত্রীপ্রতি খরচ হয়েছে ২ টাকা ৪৩ পয়সা। বিপরীতে আয় হয়েছে মাত্র ৬২ পয়সা। গত তিন অর্থবছরে এমন আয়-ব্যয়ের মধ্য দিয়ে বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে পরিচালিত হয়েছে রেলের ৪০ ট্রেন। এদিকে লোকসান গুনতে হয়েছে মালামাল পরিবহনের ক্ষেত্রেও, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রতি কিলোমিটারে টনপ্রতি খরচ হয়েছে ৮ টাকা ৯৪ পয়সা। পক্ষান্তরে আয় হয়েছে ৩ টাকা ১৮ পয়সা। মঙ্গলবার (১০ মে) রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এমন হিসাব দেয় সংশ্লিষ্টরা। রাজধানী ঢাকায় জাতীয় সংসদ ভবনে এ বৈঠক হয়।
বৈঠকে ট্রেনভিত্তিক খরচের হিসাব না দেওয়ায় সে হিসাব চেয়েছে সংসদীয় কমিটি। বৈঠকে রেল মন্ত্রণালয় জানায়, তারা ট্রেনভিত্তিক খরচের হিসাব রাখে না। রেলওয়ে কস্টিং প্রোফাইল হিসেবে কেবল ট্রেন প্রতি কিলোমিটার চালানোর খরচ হিসাব করে।
মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, রেলওয়ের পূর্ব ও পশ্চিম- দুই অঞ্চলে মোট ৪০টি ট্রেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। বছরে এসব ট্রেনের আয় হয়েছে ৯৮ কোটি ৬১ লাখ ৫৫ হাজার ৯৯০ টাকা।
বৈঠকে আলোচনা হয়- বেসরকারি খাতে দেওয়ার পরও যদি লোকসান হয়, তাহলে লিজ দেওয়ার কোনো মানে হয় না। ট্রেনগুলো নিজেই চালাতে পারে রেলওয়ে। এদিকে লোকসান এড়াতে ও সেবার মান বাড়াতে অভিজ্ঞতা অর্জনে কমিটির সদস্যদের কোরিয়া, চীন কিংবা জাপানের রেলওয়ের কার্যক্রম দেখতে সফরের ব্যবস্থা করার সুপারিশ করা হয়। গত বৈঠকের এ সুপারিশ অনুযায়ী ঈদের পর ব্যবস্থাটা করার কথা ছিল। কিন্তু মন্ত্রণালয় বলছে— করোনাভাইরাসের কারণে এসব দেশে এখনও ভ্রমণ সংক্রান্ত আরোপিত বিভিন্ন বিধিনিষেধ বিদ্যমান রয়েছে। এ বিধি নিষেধ শিথিল হলে ভ্রমণের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমকে