দুশ্চিন্তা বাড়লেও প্রভাব পড়েনি

১১ মে ২০২২

ফরহাদ খান, নড়াইল

নড়াইলে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে খুশি কৃষক। ইতোমধ্যেই পাকা ধান পুরোদমে কাটা শুরু হয়েছে। এদিকে ঘুর্ণিঝড় অশনি চাষীদের দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দিলেও এর প্রভাব তেমন একটা পড়েনি বোরো ক্ষেতে, ক্ষতিও হয়নি।   আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষক তার সোনালি ধান ঝামেলা ছাড়াই ঘরে তুলতে পারবেন বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

নড়াইল কৃষি অফিস বলছে, এ বছর জেলায় ৪৮ হাজার ৪৯০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আবাদ হয়েছে ৪৯ হাজার ৯৪০ হেক্টর জমিতে। প্রণোদনার আওতায় কৃষক বিনামূল্যে সার ও বীজ পাওয়ায় এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। মানভেদে বর্তমানে প্রতি মণ বোরো ধান বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়। ধানের দাম নিয়ে সন্তুষ্ট কৃষক।

নড়াইল পৌর এলাকার দুর্গাপুরের বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পাশাপাশি ১৮ শতক জমিতে বোরো ধানের চাষাবাদ করেছি। সার, ওষুধ ও পানি ঠিকমত পেয়েছি। এ জমিতে ১২ মণ ধান পাওয়ার আশা করছি। নড়াইল সদর উপজেলার সরসপুর গ্রামের রাজামিয়া বলেন, আমার দু’টি স্যালো মেশিনের আওতায় প্রায় ১৭ একর জমি আবাদ হয়েছে। প্রতিটি জমিতে ধানের ফলন ভালো হয়েছে। কৃষক সুকুমার অধিকারী বলেন, প্রায় দুই একর ২২ শতক জমি বর্গা দিয়েছি। ধান খুব ভালো হয়েছে।  স্যালো মেশিন মালিক মিজান জানান, সারের কোনো ঘাটতি হয়নি। ধানের ফলন যেমন ভালো, দামও বেশ। লোহাগড়া উপজেলার কয়েকজন কৃষক জানান, গত ১০ এপ্রিল থেকে ধানকাটা শুরু করেছেন তারা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নড়াইলের উপপরিচালক দীপক কুমার রায় বলেন-  সময় মতো বীজ, সারসহ অন্যান্য উপকরণ ঠিক মতো পাওয়ায় ধান চাষে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়নি। এছাড়া প্রণোদনার আওতায় নয় হাজার কৃষককে হাইব্রিড এবং ছয় হাজার কৃষককে উফশী জাতের বীজ ও সার বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। বিগত বছরগুলোতে দামও ভালো পাওয়ায় কৃষকেরা ধান চাষে ঝুঁকেছেন। এ পর্যন্ত ৬০ ভাগের বেশি জমির ধান কাটা হয়েছে। অশনির প্রভাবে নড়াইলে তেমন একটা সমস্যা হয়নি।

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর