সাধারণ জীবনই পছন্দ পঙ্কজের

১৫ মে ২০২২

হাল ধরে আছেন শিক্ষিকা স্ত্রী, আজও সাদামাঠা জীবনেই সুখী পঙ্কজ। আজও ছাপোষা মানুষ। তারকাসুলভ জীবনযাপন একটুও না। সে নিয়ে তার আফশোসও নেই। বরং রয়েছে বিস্ময়। মানুষ কীভাবে এত টাকা কেবল বাহ্যিক চাকচিক্য বানাতে খরচ করে। ভেবে পান না।

 

বিহারের একটি প্রত্যন্ত গ্রামে আধপেটা খেয়ে বড় হয়েছেন পঙ্কজ। বাড়িতে একটা টিভি পর্যন্ত ছিল না। আর্থিক প্রতিপত্তি বা প্রাচুর্য্য চোখেই দেখেননি। তবে তার পরেও কোনও দিন তাঁর জীবনে ভীষণ দুঃসময় গিয়েছে, কিংবা লড়াই করেছেন খুব, এমনটা বলতে পারেন না অভিনেতা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে পঙ্কজ জানান তার উপলব্ধির কথা। বলেন, সুখী হওয়ার জন্য অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন নেই।

 

সস্ত্রীক পঙ্কজ মুম্বইতে ঘর বেঁধেছেন বহু দিন হলো। ২০০৪ সালে 'রান' ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে তার বলিউডে আত্মপ্রকাশ। ছিলেন 'ওমকারা'তেও। এ ছাড়া 'রাবন', 'গ্যাংস অফ ওয়াসেপুর', 'দাবাং-২', 'সিংহম রিটার্নস', 'স্ত্রী', 'লুডো', 'মিমি'র মতো অজস্র জনপ্রিয় ছবি এবং সিরিজে দেখা গেছে পঙ্কজকে। তবু জীবনযাত্রা এতটুকুও বদলায়নি।

 

অভিনেতা জানান, তার স্ত্রী একজন শিক্ষিকা। তিনি সব সময়ে সংসারের হাল ধরেছিলেন। আজও দু'জনে সুখেই আছেন, নির্ঝঞ্ঝাট। পঙ্কজের কথায়, "আমি কোনো দিনই একটা বিলাসবহুল বাড়ি বা দামি গাড়ি কিনতে ঋণ নেব বলে মনে হয় না।"

 

গত বছর 'কৌন বনেগা ক্রোড়পতি ১৩'-এর একটি পর্বে সঞ্চালক অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে পুরনো কথা ভাগ করে নিয়েছিলেন পঙ্কজ। বলেছিলেন, “আমি ২০০৪ সালে মুম্বই এসেছিলাম, আর ২০১২ সালে 'গ্যাংস অফ ওয়াসিপুর' হয়েছিল। আট বছর কেউ জানতই না আমি কী করছি। এখন মানুষ যখন আমাকে জিজ্ঞেস করে, 'তোমার সংগ্রামের দিনগুলো কেমন ছিল', বুঝতে পারি না কী বলব! ভাবি, সেগুলো আমার সংগ্রামের দিন ছিল বুঝি?"


মন্তব্য
জেলার খবর