রোববার হঠাৎ করেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন অভিনেত্রী পল্লবী দে। রোববার সকালে কলকাতা শহরের গড়ফার ফ্ল্যাট থেকে পল্লবীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। বিছানার চাদর দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। নায়িকার বয়স হয়েছিল ২৫।

ইতিমধ্যেই অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করেছে পুলিশ। কিন্তু তরুণ প্রাণবন্ত অভিনেত্রী পল্লবী দের এমন মৃত্যু কেন হলো? এমন প্রশ্নের মধ্যেই উঠে আসছে তাঁকে নিয়ে আরও জল্পনা। প্রশ্ন উঠছে, সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরেই কি এই মৃত্যু?

ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, আগে তিনি থাকতেন হাওড়া এলাকায়। বাড়িতে মা-বাবা ও এক ভাই। পল্লবীর ফেসবুক প্রোফাইল বলছে, ২০২১ সালের ১৯ জুলাই তাঁর সম্পর্কের স্ট্যাটাস ছিল ‘ইন আ রিলেশনশিপ’। সেই স্ট্যাটাসে অনেকে অভিনন্দনও জানিয়েছিলেন।

দেড় মাস ধরে তাঁর প্রেমিক সাগ্নিক চক্রবর্তীর সঙ্গে গড়ফা এলাকায় থাকতেন পল্লবী। সকালে কোনো কারণে বাইরে গিয়েছিলেন সাগ্নিক। ফিরে দেখেন দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকতেই তিনি পল্লবীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। এরপরই পুলিশে খবর দেন তিনি।

মৃত্যুর আঠারো ঘণ্টা আগেও তিনি প্রেমিক সাগ্নিকের সঙ্গে সপ্তাহের শেষ দিন (ভারতে রোববার ছুটির দিন) কাটানোর ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। ছবি অনুযায়ী সপ্তাহের শেষ দিনে ছুটির মেজাজে কলকাতা শহর ঘোরাঘুরির পাশাপাশি তাঁরা রেস্তোরাঁয় খাওয়াদাওয়াও করেছিলেন।

পল্লবীর পরিবারের দাবি, আত্মহত্যা নয়, খুন করা হয়েছে তাদের মেয়েকে। যদিও নির্দিষ্ট কোনো নাম তারা বলতে চাননি। অপেক্ষা করছেন ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য।

আরেকটি সূত্র বলছে, শনিবার ও রোববার তার প্রেমিকের সঙ্গে কথা–কাটাকাটি হয়েছিল। তবে কী নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে এখন পর্যন্ত ঘরের ভেতর থেকে কোনো সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। ইতিমধ্যে গড়ফা থানায় মৃত অভিনেত্রী পল্লবী দের প্রেমিককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, রোববার সকালে সিগারেট খেতে বাইরে গিয়েছিলেন তিনি। বাড়ি ফিরে দেখেন দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তিনি পল্লবীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। তিনিই পুলিশে খবর দেন।