বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে শ্রীলঙ্কান কর্তৃপক্ষ দেশব্যাপী জারি করা কারফিউ তুলে নিয়েছে। তবে দেশটিতে এবার অর্থনৈতিক সংকট থাকায় খুব জমকালো উদযাপন হচ্ছে না। খবর ভয়েস অব আমেরিকার।
গত বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন রনিল বিক্রমাসিংহে। তাকে দেশটির রাজনীতিতে প্রভাবশালী রাজাপক্ষে পরিবারের ঘনিষ্ঠ মনে করা হয়। এ কারণে তার নিয়োগে জনগণের বড় অংশই সন্তুষ্ট নয়। জনগণ দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন।
রোববার শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠান ‘ভেসাক’ বা বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে সরকার দুই দিনের ছুটি ঘোষণা করে। একই সঙ্গে পুরো দিনের জন্য কারফিউ তুলে নেওয়ার কথা জানানো হয়। তবে কারফিউ আবার কবে শুরু হবে, তা সুনির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হলেও অনুষ্ঠান উদযাপনের পরিকল্পনা বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ।
দেশটির ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সরকারের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও অন্যান্য সমস্যা বিবেচনায় এ বছর সরকারি আয়োজনে কুরাগালা বৌদ্ধমন্দিরে অনুষ্ঠান করা হচ্ছে না। তবে বৌদ্ধরা নিজেদের আয়োজন চালিয়ে যেতে পারেন।
নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহে মঙ্গলবারের পার্লামেন্ট অধিবেশনের আগে একটি ঐক্য সরকার গঠনের জন্য চেষ্টা করেন। বিরোধীদলীয় নেতা সাজিথ প্রেমাদাসা আনুষ্ঠানিকভাবে তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন।
শ্রীলঙ্কার গণমাধ্যম কলম্বো পেজ-এর খবরে বলা হয়, শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী ও ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) নেতা বিক্রমাসিংহে সর্বদলীয় সরকার গড়তে বিরোধী দলের উদ্দেশে চিঠি লেখেন। প্রধান বিরোধী দলের নেতা সাজিথ প্রেমাদাসাকে লেখা চিঠিতে সর্বদলীয় সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানান। এর জবাবে প্রেমাদাসা বলেন, ‘রাজপথ থেকে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ার পদত্যাগের দাবি উঠছে। তার সঙ্গে যুক্ত কোনো সরকারে আমরা যোগ দেব না।’