প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন- তার সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে দেশের খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা, তাদের একটু উন্নত জীবন দেওয়া। এসডিজিতে থাকা দেশের জন্য প্রযোজ্য বিষয় সরকার বাস্তবায়ন করেছে এবং বাস্তবায়ন করে যাবে। সোমবার (১৬ মে) এসডিজি বাস্তবায়ন পর্যালোচনা বিষয়ক দ্বিতীয় জাতীয় সম্মেলন, ২০২২’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। রাজধানী ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন।
তার সরকারের নেওয়া বিভিন্ন প্রকল্প প্রসঙ্গ শেখ হাসিনা বলেন- এসব প্রকল্প যখন সম্পন্ন হবে বা মানুষ এর শুভ ফল ভোগ করবে, তখন দেশের অর্থনীতি আরও গতিশীল হবে, সচল হবে। দারিদ্র্য বিমোচন হবে। দেশের মানুষের সার্বিক উন্নতি হবে।
সরকারের সমালোচকদের সারা দেশ ঘুরে আসার পরামর্শ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন- পরিবর্তনটা কোথায় এসেছে, কতটুকু এসেছে। সেটা গ্রাম পর্যায়ে একটু যোগাযোগ করলে জানতে পারবেন। খরচের দিকটা সবাই শুধু দেখে। কিন্তু খরচের মধ্য দিয়ে নাগরিক জীবনে কী লাভ হবে এবং দেশের অর্থনীতিতে কতটা অবদান রাখবে... উন্নয়ন গতিশীল হবে, মানুষের জীবন পরিবর্তন হবে- সেটা বোধহয় তারা বিবেচনা করেন না। এটা খুব দুঃখজনক।
প্রধানমন্ত্রী জানান, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনের পথে সরকার সাত বছর অতিক্রম করছে। গত দুই বছর করোনার কারণে এসডিজি বাস্তবায়ন গতি কিছুটা মন্থর হয়েছে। তারপরও সামর্থ্যের সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে লক্ষ্য অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে।
এসডিজি বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে সরকার প্রধান জানান, নীতি সহায়তা এবং অর্থের জোগান অব্যাহত রাখা হবে। এ ক্ষেত্রে অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার এবং অপচয় রোধ নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি যথাযথভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, সবাই একসঙ্গে কাজ করলে ২০৩০ সালের আগেই নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জনে এবং ২০৪১ সালের পূর্বেই জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত এবং উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে সমর্থ হবে বাংলাদেশ।
এমকে