আরেক দফায় নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে

১৩ মার্চ ২০২২

 

গত এক সপ্তাহে বাজারে খুচরায় চাল, ডাল, আটা, ময়দা, পেঁয়াজ, আলুসহ ২৪ ধরণের নিত্যপণ্যের দাম নতুনভাবে বেড়েছে।  আর সয়াবিনের দাম বৃদ্ধি নিয়ে তো  তুলকালাম চলছেই দেশজুড়ে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দাম নিয়ন্ত্রণের কোনোও পদক্ষেপই দৃশ্যত কাজে আসছে না।

শতাংশের হিসাবে গত সপ্তাহের চেয়ে চলতি সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে পেঁয়াজের দাম- ৩০ শতাংশ। রসুনে ২২ ও আলুর ক্ষেত্রে ১২ শতাংশের মতো দাম বেড়েছে। দাম বৃদ্ধির ফর্দে নতুন করে যোগ হয়েছে শুকনো মরিচ, হলুদ ও আদা। কেজিতে ২ টাকা থেকে শুরু করে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। মাঝারি মানের চালে ৪ শতাংশের মতো ও মোটা চালে ২ দশমিক ১৩ শতাংশ দাম বেড়েছে কেজিতে।

রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন বাজারে গত সপ্তাহে যে চাল ৫৬ টাকায় কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, সেই চাল শুক্রবার বিক্রি হয়েছে ৫৮ টাকায়, ৪৮ টাকার মোট চাল বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা কেজি। ভালো মানের মিনিকেট ও নাজিরশাইল চাল বিক্রি হয়েছে ৬৩-৭৫ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে দাম ছিল  এর চেয়ে  ২ টাকা কম।

টিসিবির তথ্য বলছে, চলতি সপ্তাহে আগের সপ্তাহের তুলনায় লিটারে দুই টাকা বেড়েছে খোলা পাম তেলের দাম। শুক্রবার বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ১৭২ টাকা এবং পাম সুপার ১৫৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কেজিপ্রতি মসুর ডাল (চিকন দানা) ১০ টাকা বেড়ে ১৩০ টাকায়, অ্যাংকর ডাল  ৫ টাকা বেড়ে ৫৫ টাকায়, দেশি পেঁয়াজ ৫ টাকা বেড়ে ৭০ টাকায় আর আমদানির পেঁয়াজ ৬৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতিকেজি খোলা আটায় ৪ টাকা ও প্যাকেটজাত ময়দায় ৫ টাকা বেড়েছে দাম। খোলা আটা ৪০ টাকা ও প্যাকেটজাত ময়দা ৬২ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।  ৩ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি লবণ ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের ১৪ টাকা কেজি দরের আলু এ সপ্তাহের বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়।

এদিকে কয়েক সপ্তাহ ধরেই অস্থির রয়েছে সবজির বাজার। কেজি প্রতি ১শ’ টাকার বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে পটল, বরবটি, ঢেঁড়শ ও করলা। পটল ১২০, শিম ৬০, কাঁচামরিচ ও ধনেপাতা ৮০, টমেটো ৫০-৬০, বেগুন ৬০-৭০, বরবটি  ৮০-১২০, ঝিঙা ৬০, চিচিঙ্গা ১০০, উস্তে ১২০, শসা ৬০ ও করলা ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি সাইজের লাউ ৮০, লেবুর হালি ৫০, প্রতি পিস ফুলকপি ৫০, কাঁচকলা হালি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  এক মুঠো শাকের (লাল ও পালং) আঁটি  কিনতেও লাগছে ১০-১৫ টাকা।

এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর