সেমি ফাইনালে সাউদাম্পটনের বিপক্ষে জিতে শিরোপার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখল লিভারপুল। এ শিরো নিজেদের করে নিতে পারলে, এক মৌসুমে চারটি শিরোপা ঘরে তুলবে দলটি। কিন্তু হিসাবটা সহজ হলেও কাজটা ছিল কঠিন। সাউদাম্পটনের বিপক্ষে কঠিন সেই কাজটা করল লিভারপুল। ২-১ গোলে জিতে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল বাঁচিয়ে রেখেছে শিরোপা চতুষ্টয়ের স্বপ্ন।
তবে কাজটা যে সহজ নয়, তা ম্যাচের ১২ মিনিটেই টের পায় লিভারপুল। মাঝমাঠ থেকে সতীর্থের দুর্দান্ত এক পাস থেকে বাঁ প্রান্তে বল পেয়ে যান সাউদাম্পটনের নাথান রেডমন্ড। লিভারপুলের চার-পাঁচজন খেলোয়াড়ের মাঝ দিয়ে বাঁকানো এক শট নেন তিনি। দূরের পোস্ট দিয়ে সেই শট আলিসনকে ফাঁকি দিয়ে আশ্রয় নেয় জালে। এগিয়ে যায় সাউদাম্পটন।
গোল শোধের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি লিভারপুলকে। ২৭ মিনিটে দিয়োগা জোতার পাস ধরে ডানপ্রান্ত দিয়ে বক্সের মধ্যে ঢুকে যান তাকুমি মিনামিনো। জাপানি খেলোয়াড় অসাধারণ এক শটে লিভারপুলকে সমতায় ফেরান। গোলের পর অবশ্য উদযাপন করেননি তিনি। কারণ কিছুদিন আগেও যে সাউদাম্পটনের হয়ে খেলে এসেছেন মিনামিনো।
ম্যাচের ৬৭ মিনিটে লিভারপুলের সমর্থকদের আনন্দে ভাসার উপলক্ষ এনে দেন জায়েল মাতিপ। ম্যাচে লিভারপুলের পাওয়া অষ্টম কর্নার কিকটি নেন কনস্টানটিনোস সিমিকাস। সেই কর্নার থেকে হেডে লিভারপুলের জয়সূচক গোলটি করেন মাতিপ।