বাজারে সব জিনিসপত্রেরই দাম চড়া। এতে নাভিশ্বাস উঠছে ভোক্তাদের বিশেষ করে খেটে খাওয়া আর সীমিত আয়ের মানুষের। দাম কবে নাগাদ কমতে পারে বা আদৌ কমবে কি-না, সে প্রশ্ন এখন অনেকেরই। এদিকে জিনিসপত্রের চড়া দাম সহসাই কমছে না। কারণ বৈশ্বিক বাজারেও দাম চড়া। এমন পরিস্থিতিতে বাজারের খুচরা দরের তুলনায় সাশ্রয়ী দামে টিসিবির মাধ্যমে কিছু নিত্যপণ্য দেওয়া হবে দেশের এক কোটি মানুষকে। কারণ জানিয়ে সহসাই দাম না কমার কথা ও টিসিবির পণ্য দেওয়ার কথা জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বুধবার (১৮ মে) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্স কমিটির দ্বিতীয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
মন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশে দাম না কমলে আমাদের দেশেও কমবে না। এক কোটি মানুষকে যে টিসিবির পণ্য দেওয়া হবে, তার সুবিধা পাবে পাঁচ কোটি মানুষ। এর পরিমাণ আর বাড়ানো হবে না। কারণ, সরকারের বহন করার একটা ক্ষমতা আসে। জুন মাস থেকে শুরু হবে এ প্রক্রিয়া।
সভায় বাণিজ্য সচিব, দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে সম্পর্কিত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা ছাড়াও এফবিসিসিআইসহ খাতসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে ভারতের গম রফতানি বন্ধ, ভোজ্যতেল সঙ্কট ও পেঁয়াজের দর নিয়েও কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। জানান, ভারত বাংলাদেশে গম রফতানি বন্ধ করেনি। শতভাগ গম আমদানি করা যাবে। তাছাড়া ব্রাজিলসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশ থেকেও গম আনা হবে। গম রফতানি বন্ধের কথা বলে ব্যবসায়ীরা মানুষকে ভয় দেখাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রী টিপু মুনশি জানান, সরকার ভোজ্যতেলের ঘাটতি পূরণে রাইস ব্র্যান থেকে তেল উৎপাদনের চিন্তা করছে। এ প্রক্রিয়ায় ৭ লাখ টন তেল উৎপাদন সম্ভব। এতে চাহিদার ২৪ ভাগ মিটবে। তাছাড়া ভোজ্য তেলের বাজারে সমস্যা হবে না, চাহিদা অনুযায়ী আছে। মাঝখানে সেটা ঠিক ছিল না, এখন সরবরাহ ঠিক হয়ে গেছে। তিনি বলেন, পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি উৎপাদক পর্যায়ে ২৫ থেকে ৩০ টাকা এবং ভোক্তা পর্যায়ে ৪৫ টাকা পর্যন্ত হলে সেটা যৌক্তিক।
এমকে