ইসরায়েলের জঙ্গিবিমান লক্ষ্য করে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী অত্যাধুনিক এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকে প্রথমবারের মতো ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। এ ঘটনাকে ইসরায়েলের দখলদার সরকারের প্রতি মস্কোর দৃষ্টিভঙ্গির বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।
ইসরায়েলের চ্যানেল থার্টিন টেলিভিশনের বরাতে টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে নজিরবিহীন এ ঘটনা ঘটেছে যখন ইসরায়েলি সামরিক বিমান হামা প্রদেশের মাসিয়াফ শহরের কাছে বেশ কয়েকটি জায়গায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। একটি সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানিয়েছে, ইহুদিবাদী ইসরায়েলের বিমান থেকে মধ্যাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জায়গায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয় এবং সিরিয়ার সেনাবাহিনী বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করে।
চ্যানেল থার্টিন জানিয়েছে, হামা প্রদেশের ওই এলাকা থেকে ইসরায়েলি বিমান চলে যাওয়ার সময় রাশিয়ার এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ব্যাটারি উন্মুক্ত করা হয়। সিরিয়ায় এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রাশিয়ার সামরিক বাহিনী পরিচালনা করে এবং তাদের অনুমোদন ছাড়া সিরিয়ায় সামরিক বাহিনী এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে পারে না।
রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে, ইসরায়েলি বিমান লক্ষ্য করে এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হলেও ওই ক্ষেপণাস্ত্র লক করা হয়নি। ফলে ইসরায়েলের বিমান বড় রকমের ক্ষতির মুখে পড়েনি। এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র একবারের জন্যই ব্যবহার করা হয়েছে নাকি ইসরায়েলের প্রতি রাশিয়ার নীতি পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে এই ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে তা পরিষ্কার নয়। এ বিষয়ে ইসরায়েলের কর্মকর্তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বিভিন্ন সূত্র বলছে, ইউক্রেনকে ইসরায়েল সমর্থন দেয়ার কারণে রাশিয়া ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে পাল্টা ব্যবস্থা নেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর সাবেক জেনারেল আমোস গিলাদ বলেন, এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে রাশিয়া হয়তো এই হুঁশিয়ারি বার্তা দেয়ার চেষ্টা করেছে যে, সিরিয়ায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের ব্যাপারে মস্কো মোটেই খুশি নয়।