জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এখনো ঢেড় সময় বাকি। তারপরও সুষ্ঠভাবে ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে পরিকল্পনা মাফিক এগোচ্ছে নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরই ধারাবাহিকতায় সব দলের অংশগ্রহণে ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন করতে নিবন্ধিত সব দলের সঙ্গে খুব শিগগিরই সংলাপে বসবে ইসি। সংলাপে বসার কথাটি শুক্রবার (২০মে) সাংবাদিকদের জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। সাভার উপজেলা মিলনায়তনে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন সিইসি।
সিইসি বলেন, তারা চেষ্টা করছেন বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে সুন্দর একটি নির্বাচন উপহার দিতে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়েও কাজ করছেন তারা।
ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে উদ্বোধন উপলেক্ষ্য আয়োজিত অনুষ্ঠানে সিইসি বলেন, তাদের প্রত্যাশা অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দিতামূলক নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র বিকশিত হোক। ভোটের মাধ্যমে একটা দায়িত্বশীল পার্লামেন্ট গঠিত হোক। আর পার্লামেন্টে তর্ক-বিতর্কের মাধ্যমে জনগণের অধিকারও সংরক্ষিত হোক।
ভোটের মাঠে নির্বাচনী সহিংসতা থেকে বেরিয়ে আসার আহবান জানালেও ভোটাধিকারের বিষয়ে ভোটারদের সচেতন ও প্রতিবাদী হওয়ার পরামর্শ দেন সিইসি। বলেন, ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারলে; বাধাগ্রস্ত হলে যদি প্রতিবাদী হয়ে উঠেন, তাহলে কিন্তু ভোটাধিকার প্রয়োগটা অনেক বেশি সহায়ক হবে। সাধারণ জনগণের পাশাপাশি হিজড়া, বেদে সম্প্রদায় ও যৌন কর্মীদেরও ভোটার তালিকায় আনা হয়েছে। তাই ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে সবাইকে সেই ধরণের মনস্তাত্ত্বিক শক্তি অর্জন করতে হবে।
নির্বাচন কমিশন কখনই এককভাবে একটি নির্বাচন সফল করতে পারে না উল্লেখ করে কাজী হাবিবুল আওয়াল বলেন, এ জন্য জেলা ও পুলিশ প্রশাসনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। ভোটাধিকার প্রয়োগ করা যেমন ভোটারদের নাগরিক দায়িত্ব, তেমনি যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে জনপ্রতিনিধি হন- তাদেরও জনগণকে দেওয়ায় নির্বাচনী অঙ্গীকারের কথা মনে রাখতে হবে, যোগ করেন সিইসি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।
এমকে