সিসি ক্যামেরা বসানোর চিন্তাভাবনা

২৩ মে ২০২২

দেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক, অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করতে চায় নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এজন্য কারচুপি রোধে ভোট কেন্দ্র ও ভোট কক্ষে সিসিটিভি স্থাপনের চিন্তাভাবনার পাশাপাশি  পরীক্ষা-নিরীক্ষা সাপেক্ষ ভোটগ্রহণে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের ( ইভিএম) ব্যবহার বাড়াতে চায় সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠান। তাছাড়া অবাধ ও নিরপেক্ষ ফলাফল নিশ্চিত করতে সম্ভব সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে তারা। সম্প্রতি দেশের বিশিষ্ট নাগরিক ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপের পরিপ্রেক্ষিতে এ মতামত প্রকাশ করেছে ইসি। ইসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গত মার্চ ও এপ্রিলে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবী, নাগরিক সমাজ ও সাংবাদিকদের সঙ্গে সংলাপ করে ইসি। সংলাপে নিজেদের মতামত প্রকাশসহ বেশ কিছু পরামর্শ দেন তারা। এ মতামত ও পরামর্শ গুরুত্বসহ পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন করে নিজেদের মতামত গণমাধ্যমকে বিজ্ঞপ্তি আকারে জানালো ইসি। এ পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন ধারাবাহিকভাবে অব্যাহত থাকবে। একই সঙ্গে পরিস্থিতি বিবেচনায় কমিশন যথাযথ করণীয় নির্ধারণ করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

নিজেদের মতামত সম্পর্কে ইসি জানায়, দেশের নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দল বিশেষত প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলকে অচিরেই সংলাপে আহবান করা হবে। ভোটকেন্দ্রে ও ভোটাধিকার প্রয়োগে অর্থ ও পেশিশক্তির প্রভাব প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবার, বিশেষত আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এবং প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দল ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সহায়তা চায় ইসি। অর্থ ও পেশিশক্তির প্রভাব প্রতিরোধে রাজনৈতিক সদিচ্ছা, মতৈক্য ও সমঝোতা এহেন সমস্যা নিরসনে প্রভূত ভূমিকা রাখতে পারে। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অপ্রতুলতা হলে একাধিক দিনে কয়েকটি ভাগে নির্বাচন সম্পন্ন করা যেতে পারে- সংলাপে আসা এমন প্রস্তাবনার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ভোটের সময় ভোটকেন্দ্রে ভোট কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য অনুমোদিত সাংবাদিকদের এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের অবাধ সুযোগ প্রদান নিশ্চিত করতে  আন্তরিকভাবে চেষ্টা করা হবে।

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর