তীর রক্ষা বাঁধে ভাঙন, ঝুঁকিতে বসতবাড়ি ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ

২৪ মে ২০২২

দীপক কুমার সরকার, বগুড়া প্রতিনিধি:

বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তীর রক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ফলে জেলার ধুনট উপজেলার নদীর তীরবর্তী বসতবাড়ি, আবাদি জমিসহ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ঝুঁকিতে পড়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ মে) সকাল ৯টার দিকে পানি বেড়ে যমুনা নদীর সহড়াবাড়ি ঘাট পয়েন্টে ১৫ দশমিক ৫৭ সেন্টিমিটার সমতায় প্রবাহিত হয়। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এখানে পানির বিপৎসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার।

এদিকে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে যমুনার ভাঙনও বাড়ছে। অব্যাহত ভাঙনে গত ১৯ মে পুকুরিয়া-ভুতবাড়ি এলাকায় তীর রক্ষা বাঁধের প্রায় ১০০ মিটার অংশ বিলীন হয়ে গেছে। গত সোমবার বিকাল ৫টার দিকে একই এলাকায় আরও ৮০/৮৫ মিটার অংশ বিলীন হয়েছে। এ নিয়ে একই স্থানে প্রায় ১৮০ মিটার অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে বাঁধ এলাকা। ঘরবাড়ি হারানোর ভয়ে আছেন নদী তীরবর্তী মানুষ।

যমুনার তীরবর্তী পুকুরিয়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পানি বৃদ্ধিতে জনবসতি ও বাঁধের দিকে ভাঙন ধেয়ে আসছে। আমার বাড়ি থেকে নদী ভাঙনের দূরত্ব মাত্র পাঁচ মিটার। ভাঙনরোধে ব্যবস্থা না নিলে যে কোনো সময় আমার বাড়িসহ আশপাশের অর্ধশত বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হবে। ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্র্ডে কর্মকর্তাদের বারবার অনুরোধ করেও কোনো কাজ হচ্ছে না- অভিযোগ বাঁধের বাসিন্দাদের।

উপজেলার ভাণ্ডারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন বাবু বলেন, যমুনা নদীর স্রোতের গতি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে তীর রক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে।  এখন জরুরি ভিত্তিতে ভাঙনস্থান মেরামত না করা হলে সম্পূর্ণ বাঁধই নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। জরুরিভাবে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাউবো কর্মকর্তাদের অনুরোধ করা হয়েছে।

বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপসহকারি প্রকৌশলী নিবারণ চক্রবর্তী জানান, যমুনা নদীর ভাঙন কবলিত এলাকা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। ভাঙনরোধে জরুরি মেরামত কাজের ফাইলপত্র দাপ্তরিকভাবে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অর্থ বরাদ্দ সাপেক্ষে কাজ করা হবে।

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর