ইভিএম ব্যবহারের পক্ষে বিশেষজ্ঞরা

২৬ মে ২০২২

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের পক্ষে মতামত দিয়েছেন শিক্ষাবিদসহ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞারা। তারা বলেছেন, অন্য যে কোনও মেশিন থেকে এটা আধুনিক। এটা এমনভাবে কাস্টমাইজড করা- মেন্যুপুলেট করার সম্ভাবনা নেই, একজন ইচ্ছে করলেই এর কোনো অংশকে পরিবর্তন করতে পারবেন না। রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যে বলেছেন, এ নতুন মেশিনটা ব্যবহার করেন, তাতে আপনাদেরই লাভ হবে। অন্যদিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, মেশিনের ভালো-খারাপ নিয়ে কিছু বলবো না, আর একটু অপেক্ষা করতে হবে। তবে ইভিএম নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছায়নি ইসি। বুধবার (২৫ মে) সাংবাদিকদের বিষয়টি জানিয়েছেন তারা। এদিনে কারিগরি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ইসির মতবিনিময় সভা হয়। সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন তারা।

ইভিএম প্রদর্শন শেষে অধ্যাপক জাফর ইকবাল সাংবাদিকদের বলেন, মেশিনটা খুলে দেখেছি, এটা অত্যন্ত চমৎকার। পৃথিবীর কম দেশেই এ মূল্যবান জিনিসটা আছে বলে মনে হয় আমার। অত্যন্ত সহজভাবে এটা চালানা সম্ভব। নিজের মতো ইভিএম কাস্টমাইজড করার অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন- যারা এ কথাটা বলছেন, তারা এ জিনিসটা করে দেখান। টেকনিক্যাল দিক থেকে অন্য কিছু করা সম্ভব না। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এম কায়কোবাদ বলেন, কোনো মেশিনকে শতভাগ বিশ্বাস করা যাবে না। তবে এর প্রত্যেকটা অংশ এমনভাবে কাস্টমাইজড করা- একজন ইচ্ছে করলেই সেটাকে পরিবর্তন করতে পারবেন না। এটা খুবই একটা ভালো মেশিন তৈরি করা হয়েছে।

সিইসি বলেন, ইসি বিরোধী দলসহ কারও মতামতকে উপেক্ষা করেনি, তুড়ি মেরে উড়িয়েও দেয়নি। এ মেশিনের বিষয়ে আরও কয়েকটা মিটিং করা হবে। রাজনৈতিক দলকে ডাকা হবে। একজন টেকনিক্যাল ব্যক্তি এ মেশিনের মূল্যায়ন করতে পারবে, সেই পারসপেক্টিভ থেকে টেকনিক্যাল পারসনদের ডাকা হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোও তাদের টেকনিক্যাল টিম (যদি থাকে) দিয়ে যাচাই করতে পারবে।

সিইসি আরও বলেন- ইভিএম বিষয়ে যারা বুঝেন; এ মেশিন যারা তৈরি করেছেন, তাদের ওপর আস্থা রাখতে হবে ইসিকে। তারপরও রাজনৈতিক দল যেহেতু বলছেন- এটা মন্দ মেশিন, ভালো মেশিন না। তাই সমস্যার বিষয়ে তাদের কাছে লিখিতভাবে জানতে চাওয়া হবে, যেন সিস্টেমেটিক্যালি অ্যাড্রেস করার সুযোগ পাই। আমাদের হয়তো লিমিটেশন আছে— কিন্তু চেষ্টার কোনো ত্রুটি থাকবে না।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ৩০০ আসনে নাকি ১০০ আসনে করবো; নাকি মোটেই করব না- এগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর