ফেরত আনা যাবে পাচারের টাকা

২৭ মে ২০২২

বিভিন্ন সময়ে বিদেশে পাচার হওয়া টাকা দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ টাকা ফেরত আনার সুযোগ দেওয়া হবে আগামী অর্থবছরের (২০২২-২৩) বাজেটে। তবে সেটা আনতে হবে বৈধ পথে, আর কর দিয়ে। আর পাচারকারীরা পাবেন সাধারণ ক্ষমা। বৃহস্পতিবার (২৬ মে)  এ তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন অর্থমন্ত্রী।

এদিকে এ সুযোগ দেওয়ায় পাচার হওয়া কালো টাকা সাদা করার সুযোগ হবে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। দেশের অবস্থা শ্রীলঙ্কার মতো হতে যাচ্ছে বলে যখন বিরোধী দলের রাজনীতিকদের কেউ কেউ মন্তব্য করছেন, তখন এ সুযোগ দেওয়ার কথা জানালেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন চ্যানেলে হয়ে যেসব টাকা চলে গেছে, সেগুলো ফেরত আনার জন্য এ উদ্যোগ। বিভিন্ন দেশ তাদের পাচার হয়ে যাওয়া টাকা নিজ দেশে ফেরত আনতে এমন সুযোগ দিয়েছে। অনেকে সে সুযোগ নিয়েছে। এ প্রসঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার কথাও তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী। আশা প্রকাশ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, এ দেশ থেকে যারা টাকা নিয়ে গেছে, এ সুযোগটি তাদের জন্য অত্যন্ত ভালো একটি সুযোগ। সেটি তারা কাজে লাগাবে। তবে কতো টাকা পাচার হয়েছে সম্পর্কে কোনো ধারণা দিতে পারেননি অর্থমন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রী বলতে না পারলেও ওয়াশিংটনভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির (জিএফআই) সর্বশেষ প্রতিবেদন বলছে, ২০০৯-২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে  বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে ৪ হাজার ৯৬৫ কোটি ডলার পাচার হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ সোয়া ৪ লাখ কোটি টাকা। আর সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, কেবল সুইস ব্যাংকেই বাংলাদেশিদের ৫ হাজার ২০৩ কোটি টাকার মতো টাকা জমা আছে। যদিও দেশ থেকে অর্থ পাচারের বিষয়টি এতো দিন সরকারের তরফ থেকে স্বীকার  করা হয়নি।

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর