বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে এশিয়ার দেশগুলোর নেতাদের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ আতিথ্য দিচ্ছে। তাদের অবশ্যই মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিজ বাসভূমে নিরাপদ, নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে ফেরত পাঠাতে হবে। এশিয়ার ভবিষ্যত বিষয়ক ২৭তম আন্তর্জাতিক নিক্কেই সম্মেলনে শুক্রবার (২৭ মে) এক ভিডিও বার্তায় এ আহবান জানান। প্রধানমন্ত্রী এশিয়ার দেশগুলোর যে কোনো সংকট আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করার পরামর্শ দেন এ সময়।
দুই দিনব্যাপী সম্মেলনটি জাপানের রাজধানী টোকিওতে স্ট্রিমিং এবং অন-সাইট উপস্থিতি উভয় ক্ষেত্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবার। ভাষণে প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের বিষয়ে জাপান ও অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ওইসিডি) দেশগুলোর সহযোগিতা কামনা করেন। ২০২৯ সাল পর্যন্ত তাদের দেওয়া অগ্রাধিকারমূলক সুবিধাগুলো অব্যাহত রাখার আহবান জানান।
এশিয়াকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ও জনবহুল মহাদেশ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন- এখানে বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় ৬০ শতাংশ বাস করে, বিশ্বের অধিকাংশ দরিদ্র মানুষেরও আবাসস্থল। তাই আলোচনার মাধ্যমে মতপার্থক্য মিটিয়ে বিরোধপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে শান্তি নিশ্চিত করা অপরিহার্য। শুধুমাত্র শান্তি ও স্থিতিশীলতার পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে এশিয়ার দেশগুলো জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি ঘটাতে পারে। বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পররাষ্ট্রনীতি- ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’ অনুসরণ করে বলেও জানান তিনি। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জন্য তার সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের কথাও উল্লেখ করেন ভাষণে।
এমকে