বগুড়া প্রতিনিধি:
বগুড়ার গাবতলীতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ১ নারীসহ ৩জনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ।
রোববার (২৯ মে) দুপুর ১২টায় মডেল থানার সামনে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তি করে বিএনপি নেত্রী সুরাইয়া জেরিন রনির দেওয়া বক্তব্যের প্রতিবাদে গাবতলীর তিনমাথা মোড়ে দুপুর ১২টায় পৌর আওয়ামী লীগের নেতারা সমাবেশ করছিল। এ সময় বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মী সেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাদের প্রথমে বাকবিতণ্ডা, পরে সংঘর্ষ বাধে। এতে ইটপাটকেল নিক্ষেপে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়। এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর আরো কয়েক দফা উপজেলা বিএনপি ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
গাবতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তফা আব্দুর রাজ্জাক মিলু বলেন, ‘দুপুরে আমাদের একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। এ সময় আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মিল্টনের বাড়ি থেকে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। হামলায় আমাদের অন্তত ৭ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুইজনের মাথায় গুরুতর আঘাত থাকায় তাদের মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে।’
গাবতলী মডেল থানার পুলিশ অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলা আওয়ামী লীগ বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিএনপি নেতা মোর্শেদ মিল্টনের বাড়ির সামনে যাওয়ার পর সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় দলের কয়েকজন আহত হয়েছেন।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, গাবতলীর অবস্থা এখন ভালো। শান্তিপূর্ণ আছে এখন সবকিছু। এর আগে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এ সময় কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়তে হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
দীপক কুমার সরকার/এমকে