বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের মধ্যে তিস্তা চুক্তি হয়নি। হওয়ার সম্ভাবনাও দেখছেন না দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ। বলেছেন, যেটি করতে পারি- যা আছে, সেটি নিয়ে পরিকল্পনা করতে পারি। পরিকল্পনার বিষয়ে আমাদের সংকট নেই। শনিবার (৪ জুন) রাজধানী ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় এ পরামর্শ দেন। গঙ্গা, তিস্তা ও মেঘনা নদীর ব্যবস্থাপনা ও পানির ওপর কৃষক ও আদিবাসীর অধিকার শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি।
এ অর্থনীতিবিদ মনে করেন, পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যনার্জি একবার হ্যাঁ বললেই তিস্তা চুক্তি হয়ে যেত। কারণ, এ নদীর পানিবণ্টন নিয়ে চুক্তিপত্র লেখার পর মমতা ব্যনার্জি বললেন- তিনি মানেন না, চুক্তি আর হলো না।
কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ বলেন, আমাদের পরিকল্পনা, নীতি- এ সব নিয়ে সমস্যা নেই। নীতিগুলোও দূরদর্শী। যে আন্দোলন করছি, সেটা ঠিক জায়গায় পৌঁছাচ্ছে না। যাদের ওপর অভিঘাত পড়বে, তাদের সম্পৃক্ত করতে না পারলে হবে না। তিনি আরও বলেন, আমরা সবাই সব বিষয় ভেরি এক্সপার্ট হলেও অনেক এক্সপার্ট আছেন- যারা কিছ্ইু বোঝেন না।। তাই আমাদের বন, নদী ভূমিরক্ষার জন্য সামাজিক আন্দোলন করতে হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের আগে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তির বিষয়ে একমত হয় দুই দেশ। আশা করা হচ্ছিল- এ সফরে চুক্তিটি হবে, কিন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধীতায় সেটা আটকে যায়। এরপর মোদীর বিজেপি সরকার ভারতের ক্ষমতায় আসার পর এ চুক্তি নিয়ে আশার কথা শোনা যায়, কিন্তু মমতার অবস্থান এখনো বদলায়নি। বাংলাদেশের তরফ থেকে এ চুক্তি বিষয়ে বারবার বলা হলেও ভারত সবসময় আশাবাদী থাকার কথাই জানিয়ে আসছে।
এমকে