দেশে গ্যাসের বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে, গড়ে প্রায় ১৭ থেকে ২০ ভাগের মতো বাড়ানো হতে পারে। রোববার (৫ জুন) বিকালে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে পারে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহি চৌধুরীর সঙ্গে গ্যাসের দামের বিষয়ে বৈঠক করে বিইআরসির কর্মকর্তারা। বৈঠকে আবাসিকের ক্ষেত্রে গ্যাসের দাম কম বাড়িয়ে সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকের দিন থেকে টানা তিনদিন গ্যাসের দাম নির্ধারণ নিয়ে কাজ চলেছে বিইআরসির। তার আগে গত মার্চে গ্যাসের দামের বিষয়ে চারদিনের গণশুনানি হয়। সেখানে কোম্পানিগুলোর তরফ থেকে গ্যাসের দাম ১১৭ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব দেওয়া হয়। তবে দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত দরের মধ্যে ১০০ শতাংশ বাদ দেওয়ার চিন্তা রয়েছে বিইআরসির। বিধান অনুযায়ী গণশুনানির ৯০ দিনের মধ্যে দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে হয়।
বর্ধিত দরে আবাসিক গ্রাহকদের ক্ষেত্রে মাসিক বিল ৯৭৫ টাকা থেকে বেড়ে ১ হাজার ৮০ বা ১ হাজার ১০০ টাকার মতো হতে পারে। অন্যখাতে যেন সাধারণ মানুষের ওপর চাপ না পড়ে- এমনভাবে সমন্বয়ের মাধ্যমে দাম বাড়ানোর আভাস পাওয়া গেছে।
এদিকে দ্রব্যমূল্যের চলমান উর্ধ্বগতির মধ্যে গ্যাসের দাম বাড়ানো হলে সংসার খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হতে পারে সাধারণ মানুষকে। দেশে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলে সেটা আত্মঘাতি হবে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, সরকার চায় বর্ধিত দামের প্রভাব যেন কম পড়ে। আর গণশুনানির পর থেকেই রাজনৈতিক দল গ্যাসের দাম বাড়ানোকে অযৌক্তিক বলে আসছেন। দাম না বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।
এমকে