দীপক কুমার সরকার, বগুড়া প্রতিনিধি:
ভাড়ায় নেওয়া নারীর সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক নিয়ে সৃষ্ট বিরোধের জেরে মাদ্রাসাছাত্র রাকিব হোসেনকে (১৪) খুন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ইনভেস্টিগেটিভ ব্যুরো (পিবিআই)। বগুড়ার সোনাতলার লাহিড়ীপাড়া গ্রাম থেকে ৩ মে সকালে তার লাশ পাওয়া যায়। লাশ উদ্ধারের সময় তার পরিচয় অজ্ঞাত থাকলেও পরে জানা যায় সে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হিয়াতপুর গ্রামের শামসুল হক শেখের ছেলে, সোনাতলা সিনিয়র ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল। এদিকে এ ঘটনায় এক কিশোরসহ দুই জনকে আটক করার পরই খুনের রহস্য উন্মোচনে সক্ষম হয় পিবিআই।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, হিয়াতপুর গ্রামের ১৫ বছর বয়সী এক কিশোর ও একই এলাকার আহসান হাবীব সজীব (২০)। নিজ গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। রোববার (৫ জুন) সকালে পিবিআই এর পুলিশ সুপার আকরামুল হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার আকরামুল হোসেন জানান, রাকিব ও গ্রেফতার হওয়া দুই জনের বাড়ি একই এলাকায়। তাদের মধ্যে ঘনিষ্ট বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। ৩১ মে সজীব রাকিবকে জানায়, ‘এক মেয়েকে টাকার বিনিময়ে শারিরীকভাবে ঘনিষ্ঠ হওয়ার জন্য সোনাতলার চমরগাছা লাহিড়ীপাড়া এলাকার পতিত জমিতে নিয়ে আসা হবে’। কথা অনুযায়ী ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে তারা সোনাতলার ওই এলাকায় যায়। সেখানে সজীব ও রাকিবের মধ্যে সবার আগে কে শারীরিকভাবে ঘনিষ্ট হবে তা নিয়ে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে সজীব গ্রেফতার হওয়া ওই কিশোরের কাছে থাকা একটি লাঠি দিয়ে রাকিবের মাথায় আঘাত করে। মাঠিতে লুটিয়ে পড়ে রাকিব, এরপর এলোপাতাড়ি তার মাথায় আঘাত করা হয়। একপর্যায়ে রাকিবের গলা চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে লাশটি একটি ডোবায় ফেলে ও কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। লাশ উদ্ধারের ঘটনায় নিহতের ভাই বেলাল হোসেন সোনাতলা থানায় একটি হত্যা করেন।
পুলিশ সুপার আকরামুল হোসেন বলেন, মামলার পরে স্থানীয়ভাবে নানা তথ্য-উপাত্ত ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এ হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হয়। গ্রেফতাররা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবাববন্দি দিয়েছে।
এমকে