মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পাইলট প্রকল্প হিসেবে গণপরিবহনে বসানো হচ্ছে সিসি (ক্লোজ সার্কিট) ক্যামেরা। নারী যাত্রীদের হয়রানি বন্ধে রাজধানী ঢাকায় আপাতত ১০০টি পাবলিক বাসে এ ক্যামেরা বসানো হচ্ছে, এর পরিধি আগামীতে বাড়ানো হবে। চলতি মাসের মধ্যেই এর বাস্তবায়ন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। বুধবার (৮ জুন) রাজধানীর ইস্কাটনের মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদফতর মিলনায়তনে এক সেমিনারে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
সেমিনারে বলা হয়, আগামী এক বছরের জন্য নেওয়া এ প্রকল্পটি মহিলা বিষয়ক অধিদফতর বাস্তবায়ন করছে। তাদের সহায়তা করছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দিপ্ত ফাউন্ডেশন।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, গণপরিবহনে নারীরা বিভিন্নভাবে যৌন হয়রানির শিকার হয়। এ নিপীড়ণ একটা স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে। আর এ বিষয়ে অভিযোগের আঙ্গুল তোলা হয় নারীদের দিকেই। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির এক জরিপ ফলাফলের উদ্ধৃতি দিয়ে সেমিনারে জানানো হয়, শতকরা ৯৪ ভাগ নারী যাত্রী কোনো না কোনো ভাবে গণপরিবহনে হয়রানির শিকার হয়। সিসি ক্যামেরা বসানোর পর এ হয়রানি কিছুটা হলেও কমে আসবে। দেশে এ মুহূর্তে মোট জনগোষ্ঠির ৩৬ শতাংশ নারী প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক কর্মে নিয়োজিত, আর এদের ৮০ ভাগই যাতায়াতে গণপরিবহণ ব্যবহার করেন।
সেমিনারে আরো জানানো হয়, প্রকল্পটি দুই বছর ধরে চলছে, আগামী ৩০ জুন শেষ হচ্ছে। সিসি ক্যামেরা বসাতে দুই সিটি করপোরেশনের একাধিক বাস চালক ও হেলপারদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। কেউ সমস্যায় পড়লে তাৎক্ষণিক বিষয়টি বিশেষ অ্যাপসের মাধ্যমে সেন্ট্রাল মনিটরিং ও কনট্রোল রুমকে জানাতে পারবেন।
সেমিনারে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারি সচিব ও কর্মসূচি পরিচালক পাপিয়া ঘোষ, অতিরিক্ত সচিব এনডিসি মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান, যুগ্ম সচিব ফেরদৌস বেগম এবং দিপ্ত ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক জাকিয়া কে হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এমকে