বাংলাদেশের অনেক টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। আর সেই টাকা করের মাধ্যমে ফেরত আনতে সুযোগ দিচ্ছে সরকার। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এ সুযোগ রাখা হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন খোদ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এবয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। দেশের মানুষের কল্যাণেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
বাজেট নিয়ে দলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে শনিবার (১১ জুন) রাজধানী ঢাকায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে আওয়ামী লীগ। সেখানে এ সুযোগ দেওয়ার কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এর সুফল পেতে পারে দেশ। তবে সুফল পাওয়া না গেলে এ সুযোগ উঠিয়ে নেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘দেশের অনেক টাকা পাচার হয়েছে। অন্যান্য দেশেও এ ধরনের সুযোগ দেওয়া হয়। আমরাও দিচ্ছি।’
বিএনপিকে ইঙ্গিত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের মানুষ জানে- কারা দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে। পাচারকারী হিসেবে আপনাদের বিশ্ব রেকর্ড আছে। ক্ষমতায় থাকাকালে ৩৪ লাখ টাকা জরিমানা দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দু‘বার কালো টাকা সাদা করেছেন বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
এর আগে শুক্রবার (১০ জুন) রাজধানীর ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেট উত্থাপন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন করেন অর্থমন্ত্রী। সেখানে তিনি জানান, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরত আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। কানাডায় যারা বাড়ি করেছে বা টাকা রেখেছে, এসব টাকা ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে ওই দেশের সরকারের সঙ্গে কথা হয়েছে। ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে দেশটি। অর্থমন্ত্রী বলেন, টাকা ডিজিটাল মাধ্যমে পাচার হচ্ছে। নানা কারণে টাকা পাচার হয়। কোনো প্রমাণ ছাড়া এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। তবে প্রমাণ সাপেক্ষে কারও কারও ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে । নরওয়ে, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানিসহ উন্নত দেশও পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনার সুযোগ দেয় বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।
প্রসঙ্গ, প্রস্তাবিত বাজেটটি বৃহস্পতিবার (৯ জুন) জাতীয় সংসদে উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। এবারের বাজেটের আকার দাঁড় করানো হয়েছে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা।
এমকে