গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় সায় দিলেন ইবির শিক্ষকরা

১২ জুন ২০২২

ইবি প্রতিনিধি:

গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে  স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার বিপক্ষে অবস্থান থেকে সরে এসেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শিক্ষক সমিতির নেতারা। এ ক্ষেত্রে কয়েকটি শর্ত জুড়ে দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন। এর আগে সংবাদ সম্মেলন করে এ পদ্ধতির ভর্তি কার্যক্রমে অংশ না নেওয়ার কথা   জানিয়ে দিয়েছিলেন সমিতির নেতারা।

জানা যায়, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিভাগ বাদে বাকি সব বিভাগ গুচ্ছের বিপক্ষে মত দিয়েছিল। সে সময় সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়। তবে ইবির বিশেষায়িত ধর্মতত্ত্ব ইউনিট নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আলাদা ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করে।

এদিকে প্রথমবারের মতো এ প্রক্রিয়ায় ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করায় দুর্ভোগ পোহাতে হয় ভর্তি প্রার্থীদের। পরবর্তীতে প্রায় শতাধিক আসন ফাঁকা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেসহ বিভিন্নভাবে গুচ্ছের বিপক্ষে মত দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান বলেন, পূর্বের সমস্যার পুনরাবৃত্তি হবে না- এটা জানিয়ে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে চিঠির মাধ্যমে ইবি শিক্ষক সমিতিকে গুচ্ছে অংশ নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ কারণে আমরা জটিলতা ও ভোগান্তি দূরীকরণ, গুচ্ছের বাইরে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গুচ্ছের আওতায় আনা, জেষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে ইবিকে গুচ্ছের নেতৃত্ব প্রদানসহ বেশ কয়েকটি শর্ত দিয়ে গুচ্ছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এসব শর্ত উপেক্ষিত হলে আগামী বছর থেকে আমরা গুচ্ছে যাবো না।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রে আর্থিক ক্ষতি এবং দীর্ঘসূত্রতা থাকবে না বলে আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তবে এসব বিষয় কতটুকু বাস্তবায়ন হবে তা এ মুহূর্তে বলতে পারছি না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছে অংশ গ্রহণ করছে। সবার সহযোগিতায় ভর্তি কার্যক্রম সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হবে- এমনটাই প্রত্যাশা করছি।

তাসনিমুল হাসান/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর